আয়তনে খুব একটা বড় নয়, একটা মাত্র ফৌজ আছে, তবে খুব একটা শক্তপোক্ত নয়। এই নিয়েই ভারতকে যুদ্ধের হুমকি দিল নেপাল। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের এমন আচরণে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সাউথ ব্লকে। নেপালের এই আচরণের পিছনে কারা রয়েছে তা বুঝতে বাকি নেই বিশেষজ্ঞদের। সম্প্রতি ‘দ্য রাইসিং নেপাল’ পত্রিকাকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন নেপালের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ঈশ্বর পোখরেল। ওই সাক্ষাৎকারে কালাপানি নিয়ে দু’দেশের মধ্যে চলা বিবাদ কে উদ্দেশ্য করে পোখরেল বলেন, “ভারতীয় সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে নেপালের গোর্খাদের মনে আঘাত হেনেছেন। ভারতের জন্য বহু বলিদান দিয়েছেন গোর্খারা।
কিন্তু তৃতীয় কোনও শক্তির প্ররোচনায় আমরা কালাপানি সীমান্তে বিবাদ করছি বলে যে অভিযোগ করেছেন ভারতের সেনাপ্রধান তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। ভারতীয় সেনপ্রধানের এহেন মন্তব্যে ভারতীয় সেনার গোর্খা জওয়ানরা স্বজাতির কাছে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবেন না। এই অভিযোগ তুলে নেওয়া না হলে প্রয়োজনে যুদ্ধে নামবে নেপাল ফৌজ”। ব্রিটিশ আমল থেকেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে আসছেন গোর্খা জওয়ানরা। বর্তমানে ভারতের ফৌজে প্রায় ৪০টি গোর্খা ব্যাটালিয়ন রয়েছে। তাদের ভড়কে দেওয়ার চেষ্টা করছেন নেপালের প্রতিরক্ষামন্ত্রী, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিছুদিন আগে মানস সরোবর পর্যন্ত তীর্থযাত্রার পথ আরও সুগম করতে ভারত ৮০ কিলোমিটার একটি নয়া সড়ক পথ তৈরি করে। সেই পথ কে ঘিরেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নেপাল। নেপালের এই আচরণের পেছনে কলকাঠি নাড়ছে চীন, এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে।
তিনি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একটি বিবৃতিতে জানান, ‘ভারত ও নেপালের মধ্যে ঝামেলা বাধানোর চেষ্টা করছে তৃতীয় এক শক্তি’। এই বিবৃতিতে তিনি যে চীনের দিকেই আঙুল তুলেছেন তা বুঝতে বাকি নেই কারোর। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নারাভানে বলেন, ‘মহাকালি নদীর পূর্বের অংশ নেপালের এবং আমরা সড়ক তৈরি করেছি নদীটির পশ্চিম দিকে। তবুও কাঠমান্ডু কেন প্রতিবাদ করছে তা আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়’।