প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘আত্মনির্ভর ভারত’ দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ। কিন্তু প্রথম দিনের ঘোষণা অনুযায়ী সেই অর্থে আশা পূরণ করতে পারেনি অর্থমন্ত্রী। অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে তোলার ক্ষেত্রে একাধিক ঘোষণা করা হলেও দেশের কর্মসংস্থান, অর্থের যোগান ও পরিযায়ী শ্রমিকদের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যাপারে সেভাবে কিছু ঘোষণা করা হয়নি। এই বিষয়টি মাথায় রেখে আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ২০ লক্ষ কোটি টাকা প্যাকজের দ্বিতীয় অধ্যায়ে পরিযায়ী শ্রমিক, হকার, ক্ষুদ্র চাষী ও কর্মসংস্থানের জন্য আর্থিক সুবিধা নিয়ে একাধিক ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
এদিন অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে তোলার জন্য একসাথে ৯ টি পদক্ষেপ গ্রহণের কথা ঘোষণা করলেন তিনি। এই ঘোষণার বলা হয় যে, পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ৩ টি, হকার-ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও স্বনির্ভরদের জন্য ১ টি, ক্ষুদ্র চাষীদের জন্য ২ টি ও আবাসনের জন্য ১ টি করে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানান, ইতিমধ্যে ৩ কোটি চাষীদের স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা শুরু হয়েছে। এতে মোট ৪ লক্ষ কোটি টাকার ব্যয় হয়েছে। এই কৃষি ঋণের ক্ষেত্রে ১লা মার্চ পর্যন্ত ‘interest subvention’ ও ‘prompt repayment incentive’ এর সুবিধা বাড়িয়ে ৩১ মার্চ ২০২১ পর্যন্ত করা হয়েছে। ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া যাবে এমন ২৫ লক্ষ কিষান ক্রেডিট কার্ড তৈরি করে দেওয়া হয়েছে কৃষকদের জন্য। এছাড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের থাকা ও তিনবেলা খাওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য রাজ্যগুলিকে ১১ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য রাজ্যগুলিকে স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফান্ড ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা মাথায় রেখে ন্যূনতম মজুরি ১৮২ থেকে বেড়ে ২০২ টাকা করা হয়েছে। যে সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকের রেশন কার্ড নেই তাদের পরিবারের মাথাপিছু ৫ কিলো করে চাল ও পরিবারপিছু ১ কিলো করে ডাল দেওয়া হবে। এমন ৮ কোটি পরিযায়ী শ্রমিক চিহ্নিত করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেন, আগস্ট মাস থেকে গোটা দেশে যে কোন রাজ্যের জন্য একটিমাত্র রেশন কার্ড ইস্যু করা হবে। এর ফলে পরিযায়ী শ্রমিকরা ওই একটিমাত্র রেশন কার্ডের মাধ্যমে যে কোন রাজ্য থেকে রেশন তুলতে পারবে। এদিন হকারদের জন্যও একটি ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী। হকারদের ঋণ দিতে ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন তিনি। এতে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ পেতে পারবে হকাররা। এর ফলে ৫০ লক্ষ হকার উপকৃত হবেন। এছাড়া আবাসন ক্ষেত্র চাঙ্গা করতে ৭০ হাজার কোটি টাকার যোজনার কথা ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।