প্রায় চার মাস শেষ হতে চলল কিন্তু আজও সকলের মনে জীবন্ত সুশান্ত সিং রাজপুত। গত ১৪ ই জুন বান্দ্রায় সুশান্তের নিজের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল তার নিথর দেহ। কিভাবে মৃত্যু হলো সুশান্তের তা নিয়ে কাটেনি এখনও জট। এরই মাঝে সুশান্ত মৃত্যুতে জল গড়িয়েছে বহুদূর। কিছুদিন আগেই সুশান্ত মৃত্যুতে মাদক যোগে গ্রেফতার হয়েছিল রিয়া চক্রবর্তী। যদিও বর্তমানে জামিনে ছাড়া পেয়েছেন অভিনেত্রী। অন্যদিকে,সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতারির ভয়ে বম্বে হাইকোর্টে পিটিশনের দ্রুত শুনানির দাবি সুশান্তের ২ দিদির।
গত ৮ সেপ্টেম্বর নিয়মিত মাদক নেওয়ার অপরাধে এনসিবির হাতে গ্রেফতার হয় সুশান্ত বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী। কিন্তু সূত্রের খবর রিয়া গ্রেফতারির কয়েক ঘন্টা আগেই সুশান্তের দুই দিদির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন রিয়া। পরবর্তীকালে মুম্বই পুলিশ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে তা তুলে দেয় সিবিআইয়ের হাতে।
সূত্রের খবর,সুশান্তের দুই দিদি প্রিয়াঙ্কা ও মীতু সিং-র বিরুদ্ধে সুশান্তকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া সহ একাধিক ধারায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। জানা গিয়েছে জাস্টিস এস এস সিন্ধে এবং এমএস কার্নিকের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলেছে। ৪ঠা নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারিত হয়েছে। অন্যদিকে মাসখানেক আগে এফআইআর রদ করার জন্য বম্বে হাইকোর্টে পিটিশন দায়ের করেন সুশান্তের দুই দিদি। গ্রেফতারির ভয়ে বম্বে হাইকোর্টে দ্রুত নিজেদের পিটিশনের শুনানির আর্জি জানিয়েছেন তারা এমনটাই খবর।
অন্যদিকে আবার বম্বে হাইকোর্টকে সুশান্তের দিদিদের পিটিশনের জবাবে রিয়ার সাফ দাবি,প্রিয়াঙ্কা সিং ও দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসক তরুণ কুমার ভুয়ো প্রেসক্রিপশনের মাধ্যমে বেআইনিভাবে সুশান্তকে ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। রিয়া হলফনামায় জানান বান্দ্রা থানায় তাঁর তরফে যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তা বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা জরুরি, কারণ এই প্রেসক্রিবশন সুশান্তকে পাঠানোর এক সপ্তাহের মধ্যেই নিজের জীবন শেষ করে দেন অভিনেতা। হলফনামায় রিয়ার আরও দাবি ৮ জুন হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে প্রিয়াঙ্কা সিং ওই প্রেসক্রিপশন সুশান্তকে পাঠিয়েছিল। যেখানে নেক্সিটো, লিব্রিয়াম এবং লোনাজেপ সেবনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। প্রত্যেকটি সাইকোট্রপিক ড্রাগ সমন্বিত ওষুধ এবং এনডিপিএস আইন, ১৯৮৫-এর আওতাধীন।