মৃত্যুর আগে পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছিল সুশান্তকে? ব্যবহার করা হয়েছে অচেতন করার বন্দুক
সুশান্ত মৃত্যু কাণ্ডে তোলপাড় সিনে দুনিয়া। আত্মহত্যা নাকি খুন সেই নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। ইতিমধ্যে তদন্ত নেমেছে মুম্বাই পুলিশ। আর এরই মাঝে সামনে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতকে মারার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে অচেতন করার বন্দুক। সম্প্রতি এক টুইটার ব্যবহারকারীর এমনটাই দাবি। টুইটার ব্যবহারকারীর সেই টুইট ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা। বর্তমানে চরম ভাইরাল সেই টুইট। আর সেই টুইট দেখে NIA তদন্তের দাবি বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর।
Yes i m tottaly agree !!!
And they match !!! @republic @ishkarnBHANDARI @Swamy39 @arnab5222 @KanganaTeam https://t.co/uKCd1bUM6J— Sushant Was Murdered ! (@TheTrueWay0) August 11, 2020
গত ১৪ জুন বান্দ্রায় নিজের ফ্ল্যাট থেকেই উদ্ধার হয় সুশান্ত সিং রাজপুতের নিথর দেহ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান আত্মহত্যা করেছিল অভিনেতা। অবসাদ থেকেই আত্মহত্যা করেছেন সুশান্ত। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টেও সেই কথাই বলা হয়েছিল। কিন্তু সুশান্ত আত্মহত্যা করেছেন তা মানতে নারাজ অনুরাগীরা। এরপর তদন্ত শুরু করে পুলিশ। কিন্তু এরই মাঝে উঠছে নানা ধরনের অভিযোগ। সম্প্রতি সুশান্তের দেহ যে অ্যম্বুলেন্স চালক নিয়ে গিয়েছিলেন, তিনি দাবি করেন, ‘সুশান্তের পা মোচরানো ছিল। গোটা দেহ হলুদ হয়ে গিয়েছিল’।
Yes i m tottaly agree !!!
And they match !!! @republic @ishkarnBHANDARI @Swamy39 @arnab5222 @KanganaTeam https://t.co/uKCd1bUM6J— Sushant Was Murdered ! (@TheTrueWay0) August 11, 2020
আর এবার এক টুইটার ব্যবহারকারী টুইট করে লেখেন, ‘যে দাগগুলি ছিল, সেগুলি অচেতন করার এই বন্দুকের ব্যবহারেই হওয়া সম্ভব। পঙ্গু করে দিতে এধরনের বন্দুক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আজ অচেতন করার বন্দুকের ব্যবহার সম্পর্কে পড়লাম’। সেই ব্যক্তির টুইট করা মাত্রই ভাইরাল হয়ে যায় সেই টুইট। আর এই টুইটটি ভাইরাল হয়ে যাওয়ায় নজর এড়ায়নি বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। এরপর পাল্টা টুইট করে তিনি লেখেন, ‘কীভাবে এই বন্দুকটি আরব সাগরের সীমান্তবর্তী দেশ থেকে চোরাপথে আনা হয়েছিল? NIA-এর এই তদন্তে যোগ দেওয়া উচিত’।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই মুম্বাই পুলিশের তরফে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের জন্য অভিনেতার পরিচিত অনেকেই জেরা করে। তলব করা হয়েছিল তার বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী-সহ একাধিক জনকে। মুকেশ ছাবড়া, সঞ্জনা সাংঘি থেকে সলমান খানের প্রাক্তন ম্যানেজার রেশমা শেট্টিকেও জেরা করতে ছাড়েনি পুলিশ। অন্যদিকে সুশান্ত মামলায় সুশান্তের বাবা, ও দিদি মিতু সিংয়ের বয়ান রেকর্ড করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। CBI তদন্তের শুরুতেই সুশান্তকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন সুশান্তের বাবা কে কে সিং রাজপুত। সুশান্তের বাবা তার বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করেছেন। তার ভিত্তিতে বেশ কয়েকবার জেরা করা হয়েছে রিয়া চক্রবর্তীকে। খতিয়ে দেখা হয়েছে অভিনেত্রীর কল লিস্ট ব্যাঙ্ক ডকুমেন্টস। যা থেকে বেরিয়ে এসেছে বেশ কিছু তথ্য। তবে, সারাদেশ এখন একটাই আওয়াজ তুলেছে ‘জাস্টিস ফর সুশান্ত’।
