সুশান্তের ঘনিষ্ঠ বন্ধু সিদ্ধার্থের সঙ্গে রিয়ার অবৈধ সম্পর্ক? সামনে এলো বেশকিছু গোপন তথ্য
14 জুনের পর এতো কটা দিন পেরিয়ে গেছে কি কিন্তু যেই মানুষটা আমাদের ছেড়ে পাড়ি দিয়েছেন না ফেরার দেশে তার কারন কি অবসাদ নাকি জোর করে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে এই প্রশ্নের রহস্যের কিনারাতে তদন্তে নেমেছেন পুলিশ। যতদিন যাচ্ছে রহস্য যেন আরো জট বাধছে।
সুশান্তের রহস্যমৃত্যুতে রিয়ার সাথে নাম জড়িয়েছে সিদ্ধার্থ পিঠানিরও। লকডাউন পিরিয়ডে সুশান্তের বাড়িতেই ছিলেন তার বন্ধু তথা ক্রিয়েটিভ ম্যানেজার সিদ্ধার্থ। তার সাথে জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে পুলিশকে তিনি জানান যে তার সাথে রিয়া চক্রবর্তীর সম্পর্ক খুব একটা ভালো ছিল না। পুলিশ সূত্রে খবর সুশান্তর বাড়িতে যে সিদ্ধার্থ ছিলেন তাও নাকি মেনে নিতে পারতেন না রিয়া। এমনকি সিদ্ধার্থ সুশান্তকে ভালো বন্ধু বলতেও নারাজ তার দাবি তারা কেবল পেশাগত কারনে চিনতেন। এই বিষয়ে রিয়াও পুলিশকে জানিয়েছেন যে সুশান্তের সাথে সিদ্ধার্থকে কেন্দ্র করে ঝগড়াও হতো। সুশান্ত এর মৃত্যুর পরের সিদ্ধার্থ ও রিয়াকে একসাথে দেখাও যায়নি বিশেষ।
কিন্তু সত্যি কি সিদ্ধার্থ রিয়া সম্পর্ক তিক্ত ছিল নাকি এ কেবল চোখে ধুলো দেওয়ার প্রয়াস। কারন ইন্সটাগ্রাম কিন্তু অন্য কথা বলছে। রিয়া চক্রবর্তীর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল দেখলেই বোঝা যায় সিদ্ধার্থের সাথে ভালো সম্পর্কই ছিল। লকডাউন বাড়িতে কিভাবে চুলের যত্ন নেওয়া যায় সে সম্পর্কিত একটি ভিডিও শেয়ার করেছিলেন রিয়া আর সেটা ক্যামেরাবন্দি করেন সিদ্ধার্থ। এমনকি রিয়া সিদ্ধার্থকে প্রিয় ফটোগ্রাফার বলে দাবি করেছেন ইন্সটায়। রিয়ার সাথে যদি সিদ্ধার্থের সম্পর্ক খারাপই হবে তাহলে রিয়ার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে বেশিরভাগ ছবি সিদ্ধার্থের তোলা কেন হবে? আর এই তথ্য সামনে আসতে প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনরা তবে কি সিদ্ধার্থের সাথে রিয়ার কোনো অবৈধ সম্পর্ক ছিল?
সন্দেহ আরো দানা বেঁধেছে কারণ এই কথা উঠে আসতেই নিজের প্রোফাইল থেকে সমস্ত ছবি ভিডিও ডিলিট করে দিয়েছেন সিদ্ধার্থ। প্রোফাইলে দুটি ফটো শেয়ার করা রয়েছে সুশান্তের আর লেখা আছে যে সেটি নাকি সুশান্তের ফ্যান পেজ কোনো ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সম্পর্ক নেই। দুজনের মধ্যে ভালো সম্পর্ক থাকলেও অস্বীকার করলেন কেন তারা? নির্দোষ কেনই বা সবকিছু ডিলিট করে দিলেন? কেন হঠাৎ ভোলবদল…সন্দেহ আরো প্রগঢ় হচ্ছে।