বিনোদন

অগ্নিসাক্ষী করে সাতপাকে বাঁধা না হলেও অঙ্কিতাই ছিলেন মাতৃহারা সুশান্তের ‘স্ত্রী’, অভিনেতার দুঃখের তল ছিল অপরিসীম

Advertisement
Advertisement

জন্মদিনে আরো একবার স্মৃতিচারণে উজ্জ্বল হয়ে উঠলেন সদ্য প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত। বেঁচে থাকলে আজ তাঁর বয়স হত ৩৫। কিন্তু তিনি চলে গেছেন না ফেরার দেশে। আজ স্মৃতিচারণে ফের উঠে এলেন তিনি। কোনো চরিত্রে অভিনয়ের সময় তিনি একাত্ম হয়ে যেতেন চরিত্রটির সাথে এবং তার জন্যেই জীবনে তার কাছে অর্থ কোনদিনও গুরুত্ব পায়নি।

শেখর কাপুরের ‘পানি’ সিনেমাটির চরিত্রের জন্য তিনি বহু সময় দিয়েছিলেন। যার জন্য তিনি হারিয়েছিলেন ‘বাজিরাও মাস্তানি’তে অভিনয়ের সুযোগ। কিন্তু তা নিয়ে কোনো ক্ষোভ ছিল না তার মনে। ব্যোমকেশ থেকে শুরু করে মহেন্দ্র সিং ধোনি, প্রত্যেকটি চরিত্রের অভিনয়ই মনে রাখার মতো। তার একমাত্র কারণ ছিল তিনি চরিত্রটি সাথে একাত্ম হয়ে যান। সুশান্ত জানিয়েছিলেন, “আমি যখন কোন চরিত্রে অভিনয় করছি যতক্ষণ না পর্যন্ত আমি সেই চরিত্রটির সাথে একাত্ম হয়ে যেতে পারছি ততক্ষণ পর্যন্ত আমি শান্তি অনুভব করতাম না। আমি রাতে ঘুমাতে পারতাম না।”

তাঁর জীবনে যেমন অর্থ গুরুত্ব পায়নি। ঠিক ততটা গুরুত্ব হয়তো বিবাহিত জীবনও পায়নি। অঙ্কিতা লোখান্ডের সাথে সাতপাকে ঘোরা না হলেও তিনি ছিলেন তাঁর স্ত্রী। একথা স্বীকার করতেন সুশান্ত। কিন্তু তার মনের গভীরে দুঃখের তল পাননি কেউই। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদের পর মাতৃহারা সুশান্তের সবথেকে কাছের দুই দিদিও না।

‘ছিছোরে’র অনিরুদ্ধর মত সুশান্ত বিশ্বাস করতেন, আমি বাণিজ্যিকভাবে নিজেকে কখনো বিকিয়ে দেবো না। যদি অর্থের পেছনে ছুটতেন তাহলে হয়তো আজ তিনি বাণিজ্যিকভাবে অনেকটাই সফল হতেন। কিন্তু তা না করে তিনি ছুটেছিলেন অভিনয়কে আরও গুরুত্ব সহকারে গড়ে তোলার প্রতি। যে কারণেই হয়তো আজ ইন্ডাস্ট্রিতে টিকতে পারেননি তিনি এবং সবকিছু ছেড়ে তাকে চলে যেতে হয়েছে। সুশান্তের অনুরাগীদের মনে আজও ততোটাই উজ্জ্বল হয়ে বেঁচে আছেন তিনি যতটা উজ্জল ছিলেন ‘কাই পো চে’র নায়ক দিন কয়েক আগেও।

Related Articles