কেউ নতুন মানুষে বদলে গিয়েছে, তবে আমি আগের মতই আছি, একাকীত্বে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা নিখিলের
নিখিল কি আজও নুসরতের পথ চেয়ে বসে আছেন? ভালোবাসার মানুষের প্রতীক্ষায় কি অপেক্ষারত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন? নুসরত জাহানের স্বামীর এমনই ইঙ্গিতপূর্ণ ইনস্টাগ্রাম পোস্ট প্রেম দিবসের দিনে। এই দম্পতির সম্পর্ক গত কয়েক মাসে টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। গুঞ্জন রয়েছে, যশ দাশগুপ্ত তৃতীয় ব্যক্তি হিসাবে তাঁদের সম্পর্কের মাঝে ঢুকে পড়েছেন। আলাদা হয়েছে ছাদ, চিড় ধরেছে রূপকথার প্রেমকাহিনিতে। তবে নিখিল জৈন এই রূপকথার গল্প উলটে দেখলেন প্রেমদিবসের দিনে।
এদিন মুঠোফোনের গ্যালারি থেকে স্মৃতির সরণি বেয়ে নিজের বন্ধুর বিয়ের অনুষ্ঠানের একটি ছবি পোস্ট করেন নিখিল। তবে নিঃসঙ্গতার ছাপ স্পষ্ট সেই ছবিতেও। ছবিতে দেখা গেল, নিখিল বসে তুরস্কের পাহাড়ি রাস্তার ধারে, হালকা হাসি ঠোঁটের কোণে, সাথে অপেক্ষার অভিব্যক্তিতে। নিজের স্বপ্নের রাজকুমারীকে নিজের জীবনে শামিল করে নেওয়ার অপেক্ষা, সেই অপেক্ষার অর্থটাই বদলে গিয়েছে মাত্র দেড় বছরের ব্যবধানে।
ক্যাপশনে নিখিল লিখেছেন, “আমি দুঃখিত। তুমি যে কথা আমাকে দিয়েছিলে, তার কথা বলছি আর কি! দেখতে পাচ্ছি, একজন বদলে গিয়ে অন্য মানুষে পরিণত হয়েছে। আমি এখনও সেই আগের মতোই আছি।” ভালোবাসার দিনে বিয়ের অনুষ্ঠানের ছবি পোস্ট করে বদলে যাওয়ার তীরে কাকে বিঁধলেন নিখিল? নিখিলের ইশারা আসলে কার দিকে সেটি বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। নিখিলের ফলোয়াররা বেশ পরিচিত অফ-হোয়াইট এই বন্ধগলার সঙ্গে। নিখিল প্রি-ওয়েডিং সেলিব্রেশনে মেতে উঠেছিলেন বুকে লাল রঙা পাখি আঁকা এই বন্ধগলাতে। সেই সব ছবি উঠে আসবে তাঁর ইনস্টাগ্রামের দেওয়াল ঘাঁটলে।
নুসরত এই সব পুরোনো ছবির কমেন্ট বক্সে লিখেছিলেন, ‘ইয়োরস ফরএভার’ অর্থাৎ আজীবন তোমারই। তবে সব ইকুয়েশন যেন পাল্টে গেল বছর ঘুরতে না ঘুরতেই। নিখিলের ফলোয়ার সংখ্যাও কম নয় ইনস্টা পরিবারে। তাঁকে ফলো করেন ৪০ হাজার মানুষ। তাঁরা স্বান্তনায় ভরিয়ে দিয়েছেন ভ্যালেন্টাইনস ডে’তে নিখিলের এই মন খারাপ করা পোস্ট দেখে। লিখেছেন, “কেউ তোমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করলে নিশ্চয় ফল পাবে”, কেউ লিখেছেন, “জীবনটা বুমেরাংয়ের মতো, সকলে কর্মফল ঠিক পাবে”। গত বৃহস্পতিবার ডিকশনারির প্রিমিয়ারে একসঙ্গে হাজির হন নুসরত-যশ প্রেম সম্পর্কের গুঞ্জনে ঘি ঢেলে। নুসরত বুঝিয়ে দেন, বন্ধুত্বের অর্থ বদলাচ্ছে তাঁর জীবনের ‘ডিকশনারি’তে। আর নিখিলের কথাতে, তিনি এখনো আছেন একইরকম।