করোনা সংক্রমনের প্রথমদিকে জনতা কার্ফু-র দিন চায়ের দোকানে চা খেতে গিয়ে ভাইরাল হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। বর্তমানে সে ‘চা কাকু’ বলেই খ্যাত। মনে পরছে সেই বিখ্যাত চা কাকুকে! ‘আমরা কি চা খাব না, চা খাব না আমরা’ এই কথা বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি রাতারাতি সেলিব্রেটি হয়ে গিয়েছিলেন। এবার সেই ‘চা কাকু’ ওরফে মৃদুল দেবের পাশে দাঁড়ালেন তারকা সাংসদ মিমি চক্রবর্তী।
জনতা কার্ফুর কথা না জেনেই চায়ের দোকানে চা খেতে বাইরে বেরিয়েছেন মৃদুল দেব। আসলে তিনি জানতেন না কার্ফুর কথা। যা নিয়ে উত্তাল হয় নেটদুনিয়া। তবে, সোশাল মিডিয়াতেই চা কাকুর দৈনন্দিন জীবন যাপনের ছবিটা সামনে আসে। ফের একবার ভাইরাল হয়ে যান মৃদুল বাবু ওরফে চা কাকু। পেশায় দিনমজুর ‘চা কাকু’ নজরে আসে তারকা সাংসদ মিমিরও। এরপর মৃদুল দেবের দিকে সাহায্যের হাত বাড়ায় মিমি। লকডাউনের জেরে অনেকের পকেটেই ধরে টান। আর তাই কঠিন সময় মৃদুল দেবের পাশে দাঁড়িয়ে চাল, ডাল, সহ সংসারের প্রয়োজনীয় জিনিস তুলে দিয়েছিলেন মিমি।
অন্যদিকে, সবেমাত্র শেষ হয়েছে দূর্গাপুজো। তবে বাঙালিকে পুজোর পরে দশমীতো করতেই হবে। মিমি তার প্রিয় ‘চা কাকু’-র সঙ্গে দশমী করবে না এটা হতেই পারে না। আর তাই ‘চা কাকু’ ওরফে মৃদুল দেবের সঙ্গে বৃহস্পতিবারই পাটুলির অফিসে এসেই দেখা করলেন তারকা সাংসদ মিমি।
শুকনো মুখে দেখা নয় মিষ্টিমুখ করাতে ‘চা কাকু’- র হাতে বিজয়ার মিষ্টিও তুলে দেন মিমি। ‘চা কাকু’- র সঙ্গে যোগাযোগের পর থেকেই নিয়মিত তার খোঁজ রাখেন তারকা সাংসদ। সেই জন্যই বিজয়ার পর ফের একবার ‘চা কাকু’র সঙ্গে দেখা করলেন মিমি, শুনলেন তাঁর সমস্যার সমস্ত কথা। ‘চা কাকু’ তার ছেলের কাজের জন্য মিমিকে অনুরোধও জানান। ওদিন শুধু মৃদুল দেব-ই নয়, পাটুলির অফিসে বিভিন্ন মানুষের সমস্যার কথা শোনেন মিমি চক্রবর্তী। অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতিটাও সমানতালে ম্যানেজ করছেন মিমি চক্রবর্তী।