সুশান্ত সিং রাজপুত এর মৃত্যুর তদন্ত নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে মুম্বাই পুলিশ, পাশাপাশি বিহার পুলিশের সাথেও অসহযোগিতা করারও অভিযোগ উঠেছে। অনেক ঘটনায় প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাচ্ছে যে মুম্বাই পুলিশের গোটা তদন্ত কি সত্যিই নিরপেক্ষ ভাবে হচ্ছে? সুশান্তের পরিবারের তরফ থেকে কিছুদিন আগেই বিহার পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। আর তারপর থেকেই তৎপর হয়েছেন বিহার পুলিশ। মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই তারা প্রচুর তথ্য সামনে এনেছেন যা এতদিন মুম্বাই পুলিশের তরফে জানা যায়নি।
বিহার পুলিশ এর ডিরেক্টর জেনারেল গুপ্তেশ্বর পান্ডে সরাসরি অভিযোগ এনে বলেন যে “মৃত্যুর তদন্তে অর্থনৈতিক বিষয় গুলির দিকে একেবারেই নজর দেয়নি মুম্বাই পুলিশ।” তারা তদন্ত করে দেখেছেন সুশান্তের অ্যাকাউন্ট থেকে গত চার বছরে 50 কোটি টাকা এবং গত এক বছরে 15 কোটি টাকা তোলা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্তের প্রয়োজন। এই মামলার তদন্তের প্রধান হিসাবে পাটনার এসপি বিনয় তিওয়ারিকে পাঠানো হয়। কিন্তু অভিযোগ ওনাকে জোর করে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। সুশান্তের ময়নাতদন্ত এবং ফরেনসিক রিপোর্ট এসপি সাথে ভাগ করা হয়নি এই অজুহাতে।
অন্যদিকে সাংবাদিক বৈঠকে মুম্বাইয়ের পুলিশ কমিশনারের পরমবীর সিংহ দাবি করেন- একাউন্ট সংক্রান্ত তথ্যাদি খতিয়ে দেখা হয়েছে। 15 কোটি টাকা গায়েব হওয়ার অভিযোগ খারিজ করে তিনি জানান সুশান্ত এর একাউন্ট থেকে সরাসরি রিয়া চক্রবর্তী বা তার সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের একাউন্টে কোন ট্রান্সফার করা হয়নি। তিনি বলেন-” আমরা দেখেছি ওর একাউন্টে 18 কোটি টাকা ছিল যার মধ্যে 4.5 কোটি টাকা রয়েছে এখনো।”
দু রাজ্যের পুলিশের মধ্যেই যেন চলছে এক ঠান্ডা লড়াই। অপরদিকে সংবাদ সংস্থা আইএএনএস কে , ডিজিপি গুপ্তেশ্বর জানিয়েছেন “আমরা চুপ করে বসে থাকতে পারিনা, আমরা তো প্রশ্ন করবই যে কাকে আড়াল করার চেষ্টা চলছে!!” – রহস্যের জট যেন আরো বেড়ে যাচ্ছে, লক্ষ্য কেবল সুশান্তের সুবিচার পাওয়া।