করোনা ধ্বংসে ম্যাজিক দেখাচ্ছে জাপানের এই ওষুধ, সবুজ সংকেত দিলো কেন্দ্র
করোনা ভাইরাস এর সংক্রমণ বিশ্বে এখন মহামারীর আর এক রূপ। প্রতিদিন তর তরিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় নাজেহাল বিশ্বের বেশিরভাগ দেশগুলো। ভারত তার ব্যতিক্রম নয়। বিশ্বের প্রায় প্রতিটা দেশই করোনার ওষুধ আবিষ্কার করার জন্য মরিয়া। এখনও পর্যন্ত বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীরা ব্যর্থ এই মারণ ভাইরাস প্রতিষেধক আবিষ্কারে।
সংকটের আবহে কিছুটা স্বস্তির খবর পাওয়া গেল। কেন্দ্রের তরফ থেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত জাপানি ওষুধ ফ্যাভিপিরাবির এর উৎপাদন এবং বিপণনের। এছাড়া জানা গেছে, গত শুক্রবার ভারতের ড্রাগস কন্ট্রোলার করোনার সম্ভাব্য চিকিৎসা হিসাবে ”জরুরি ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য” এই ওষুধটিকে অনুমোদন করেছে । শনিবার গ্লেনমার্ক সংস্থা জানিয়েছে যে, এই ওষুধ আগামী সপ্তাহে বাণিজ্যিকভাবে চালু হবে। আর চলতি মাসের শেষের দিকে প্রেসক্রিপশন দেখালে ওষুধের দোকানে মিলবে এই ওষুধ। গ্লেনমার্ক ভারতে ফ্যাবিফ্লু ব্র্যান্ড নামে এই ওষুধ চালু করবে। ৩৪ টি ট্যাবলেটের একটি প্যাকের দাম পড়বে সাড়ে ৩ হাজার টাকা অর্থাৎ প্রতিটি ট্যাবলেটের দাম পড়বে ১০৩ টাকা, এমনটাই জানানো হয়েছে সংস্থার তরফ থেকে।
একজন চীন স্বাস্থ্য আধিকারিক এই ওষুধ প্রসঙ্গে বলেছেন, দেখা গেছে এই অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ ফ্যাভিপিরাবির ব্যাবহারে প্রায় একানব্বই শতাংশ রোগীর ফুসফুসের অবস্থার উন্নতি হতে। এছাড়া জানা গেছে জাপানে ১৪ দিনের মধ্যে ৮৮% করোনা রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন এই ওষুধের প্রয়োগে। বর্তমানে এই ওষুধটি ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, রাশিয়া,ব্রিটেন, ইতালি, চীন, ফ্রান্স ছাড়াও আরও অনেক দেশের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে। রাশিয়ার ৩৯০ জনের মধ্যে এই ড্রাগ এর প্রয়োগে ৮০ শতাংশ সাফল্য মিলেছে। এছাড়া চীনে ৩৪০ জন রোগীর ওপর এই ওষুধ ভালো সফল হয়েছে।