করোনা প্রতিরোধে দেশজুড়ে যে লকডাউন চলছে তা জারি থাকার কথা ছিল আগামী ৩রা মে পর্যন্ত। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সহ ৫ রাজ্য থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে লোকজনের সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি জানানো হয়। রাজধানী দিল্লিতে আগেই লকডাউনের সময়সীমা বাড়িয়ে ১৬ ই মে করা হয়েছে। বাকি রাজ্যগুলোর ক্ষেত্রে কি করা হবে তা আজকে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স বৈঠকের পরেই জানাবে প্রধানমন্ত্রী, এমনটাই কথা ছিল। সেইমতো মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স বৈঠকের পর লকডাউন না তোলার ইঙ্গিত দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এদিন বৈঠকে উপস্থিত ৯ জন মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে থেকে ৫ জন লকডাউন তুলে নেওয়ার পক্ষে সম্মত হন। বাকিরা করোনা ভাইরাস সংক্রমণ আরো ভালোভাবে প্রতিরোধ করার তাগিদে লকডাউন বাড়ানোর ক্ষেত্রে আর্জি জানান। কিন্তু এদিন প্রধানমন্ত্রী সমস্ত রাজ্যগুলিকে লকডাউন তুলে নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করতে নির্দেশ দেয়। তবে প্রতিটি রাজ্যকে এও নির্দেশ দেন যে, রাজ্যে অধীনস্থ জেলা গুলিকে সংক্রমণের তীব্রতা অনুসারে রেড, গ্রিন ও অরেঞ্জ হিসেবে ভাগ করতে। সেই অনুযায়ী রেড জোনে যে এলাকাগুলি থাকবে সেখানে লকডাউনের নিয়ম জারি রাখা হবে। গ্রীন ও অরেঞ্জ জন গুলিতে অর্থনৈতিক সক্রিয়তা শুরু করা হবে কিন্তু অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব মেনে ও মাস্ক পরে।
এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিহার, ওড়িশা, গুজরাত, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুঁদুচেরির মুখ্যমন্ত্রীরা। উত্তর-পূর্বের রাজ্যের মধ্যে মেঘালয় ও মিজোরাম তাদের মতামত আগেই জানিয়েছে। লকডাউন উঠলেও যান চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা একইভাবে জারি থাকবে। এছাড়া স্কুল-কলেজ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখা হবে।