নদীয়া সংবাদনিউজরাজ্য

নদীয়ার শান্তিপুর নবজাগরণের পক্ষ থেকে ভবঘুরেদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে

শুধু তিন বেলা আহার নয়! প্রয়োজন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা, যা বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ!

Advertisement
Advertisement

মলয় দে নদীয়া:- উৎসবের আনন্দ সকলের সাথে ভাগ করে নিলে তবেই পরিপূর্ণ হয়। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দূর্গাপূজা রয়েছে।

নদীয়ার শান্তিপুর নবজাগরণ সংস্থা সকলের সহযোগিতায় পথপ্রান্তে পড়ে থাকা আশ্রয়হীন মানসিক ভারসাম্যহীন, ভবঘুরেদের তিন বেলা খাবার জুগিয়ে আসছেন বেশ কয়েক বছর ধরে। এই সুবাদে সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠতার, যেন ঠিক পরিবারের মতো!  এই সদস্যদের কথা তারা শোনেন অভিভাবকের মতো।

শুধু তিন বেলা আহার নয়! প্রয়োজন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা, যা বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ! এর আগেও পোস্ট অফিস, রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ডে থাকা ডাস্টবিন থেকে খাবার কুড়িয়ে খাওয়া, আপন-মনে বিড়বিড় করে কথা বলা বলাই দা ,বাপি দা, রবি টাকলা, তুলসী মাসির মতন অনেকেই পুরনো অভ্যাস থেকে কিছুটা পরিবর্তন করতে পেরেছে নবজাগরণ। কেককেটে তাদের জন্মদিন পালন, প্রতিদিন সম্ভব না হলেও মাঝে মাঝে স্নান করিয়ে দেওয়া।

নোংরা জামা কাপড় পরিবর্তন করানো, কিছুক্ষণ সময় তাদের সাথে গল্প করে স্মৃতি ফেরানোর প্রচেষ্টা এমনকি শরীর খারাপ হলে চিকিৎসা করানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ সবটাই ধৈর্যসহকারে করে চলেছে নবজাগরণ। আর আসন্ন দুর্গা উৎসবকে কেন্দ্র করে সকলের মনেই খুশির আলো! কিন্তু বলাই দা বাপিদা ,ভরসা পাগল , দিলা পাগলা এদের এক মাথার চুল, একগাল দাড়ি, বড় বড় নখ তাদের মানসিক ভারসাম্যহীনতা আরো বৃদ্ধি করছে বলেই মনে করেন সংগঠনের সদস্যরা!

গত কয়েকদিন যাবৎ এইরকমই বেশকিছু নাম-ঠিকানা গোত্রহীন পথপ্রান্তে পড়ে থাকা মানসিক ভারসাম্যহীনদের পরিষ্কার করে তাদেরও উৎসবমুখি করে তোলার চেষ্টা করেছে নবজাগরণ। তারা মনে করে সকলে ভালো থাকলে, তবেই ভালো থাকা যায়। তাই তারা এই প্রয়াস নিয়েছে।

Related Articles