নিউজরাজ্য

উচ্চ শিক্ষিত হয়েও জুটছে না চাকরি, স্বাস্থ‍্যমন্ত্রীর কাছে ন‍্যায‍্যমূল‍্যে কিডনি বিক্রির আবেদন বাংলার যুবকের

Advertisement
Advertisement

বর্তমান সমাজে বেকারত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে রোজ রোজ। এমনই এক বেকার যুবক চাকরি না পেয়ে কিডনি বিক্রির আবেদন জানিয়ে সরাসরি স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন। রফিকুল হাসান নামক ওই ব্যক্তি ন্যায্যমূল্যে নিজের কিডনি বিক্রির আবেদন জানিয়েছেন। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি না পেয়ে চরম হতাশায় এ কাজ করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। মেদিনীপুরের শাসনের যুবক এই রফিকুল হাসান শুধু একা নন সেই এলাকার আরও বেশ কিছু যুবক যাঁরা চাকরি না পেয়ে অভাব অনটনে হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন। রোজগার নেই, অথচ সংসারের দায় ঘাড়ে এসে পড়েছে।

সূত্রে জানা গেছে, বাংলা অনার্স নিয়ে গ্র্যাজুয়েশনের পর দীর্ঘদিন চাকরির খোঁজ করেছেন। বহু জায়গায় আবেদন করেছেন। সরকারি চাকরির পরীক্ষা দিয়েছেন কিন্তু লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত চরম হতাশায় ফেসবুকে পোস্ট লেখেন, “সম্মানীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী, বেকারত্বের জ্বালা আর নিতে পারছি না। আপনি যদি আমার কিডনিটি ন্যায্যমূল্যে বিক্রির ব্যবস্থা করে দেন তাহলে কৃতজ্ঞ থাকব”। 

রফিকুল হাসান বলেন, “২০২১ সালে টেট পরীক্ষায় বসে ভালো পরীক্ষাও দিয়েছিলাম, সরকারি চাকরির পরীক্ষা দিই। কিন্তু ফলাফলই জানতে পারিনি।” বাকীরাও জানান, যুবশ্রী প্রকল্পে যাঁরা নাম লিখিয়েছিলেন, তাঁরা কেউ কেউ টাকা পান, প্রকল্প থাকলেও অনেকে টাকা পায় না। তাদের অভিযোগ যারা এলাকায় পরিচিত, তারাই টাকা পায়। 

উল্লেখ্য, চিত্রশিল্পী সমীর আইচ রফিকুলের পোস্ট সম্পর্কে শুনে বলেন, “বাংলা আরও পিছিয়ে যাবে। রফিকুলের মতো আরও অনেকে আছেন বাংলায়।” সায়নদীপ মিত্র বলেন, “এটাই বাস্তব চিত্র নতুন প্রজন্মের সামনে। একদল প্রতারকের খপ্পরে পড়েছেন বাংলার নতুন প্রজন্ম।” জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কে নাম লেখালেই চাকরি দেবেন বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কেউই চাকরি পাননি।”

রফিকুল হাসান জানান, “লেখাপড়া করে সরকারি চাকরি পাব ভেবেছিলাম। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন ২ কোটি মানুষকে চাকরি দেওয়া হবে, কিন্তু কিছুই হল না! হতাশায় অভাবে আর কতদিন কাটবে জানিনা।”  

Related Articles