গত কয়েকদিন ধরেই মন খারাপ ছিল সোনা প্রেমীদের। একেই বিয়ের মরশুম তার উপর সোনার চড়া দাম। যার জেরে সোনা কেনা একেবারে দায় হয়ে গিয়েছিল অনেকের। লাগাতার কয়েকদিন খারাপ খবরের পর অবশেষে এলো সোনা প্রেমীদের জন্য সুখবর। পরপর তিনদিন উত্থানের পর শুক্রবার অনেকটাই পড়ল সোনার দর।
একদিকে করোনা আতঙ্কে ভুগছে দেশ থেকে শহর। তারই মাঝে করোনা কাঁটায় আনাজ থেকে চাল, ডাল, তেল, নুন সবকিছুরই অতিরিক্ত হারে দাম বেড়ে গিয়েছে। যে জিনিসের দাম বাড়ছে তার আর কমার নাম-গন্ধ নেই। চলতি বছরের শুরু থেকে অতিরিক্ত হারে সোনার দাম বৃদ্ধি পেলেও অক্টোবর নভেম্বর মাসে একটু কমেছিল সোনার দর। কিন্তু ডিসেম্বর পরতেই অতিরিক্ত হারে বেড়ে যায় সোনার দাম। গত কয়েকদিন একনাগাড়ে সোনার দাম বাড়ার পর অবশেষে শুক্রবার সোনা প্রেমীদের মুখের হাঁসি ফিরিয়ে দিয়ে ফের দাম কমলো সোনার।
সোনার দাম প্রসঙ্গে কোটাক সিকিওরিটিস-র এক বিবৃতি জানানো হয়েছে, ‘বেশ কয়েক দিন নিম্নমুখী বাজার থাকার পরে অর্থনৈতিক সংস্কারের সম্ভাবনায় সোনার দামে ফের উত্থান দেখাদিয়েছে’। অন্যদিকে সোনার দাম প্রসঙ্গে জিওজিৎ ফাইন্যান্সিয়াল মনে করছে, প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম এমসিএক্স সূচকে যদি ৪৯,৬২০ টাকার নীচে নামলে বেশ কিছু পরিবর্তন দেখা দিতে পারে।
আসুন এবার দেখে নেওয়া যাক শুক্রবার ঠিক কতটা কমেছে সোনার দর। এদিন এমসিএক্স সূচকে ০.২৪% পতনের জেরে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম যাচ্ছে ৫০,২৭০ টাকা। তবে, অন্যদিকে এদিন আন্তর্জাতিক বাজারে স্পট গোল্ড সূচকে ০.২% পতনের জেরে প্রচতি আউন্স সোনার দাম যাচ্ছে ১.৮৮১.৬৫ ডলার। বলে রাখি, বৃহস্পতিবার কিন্তু ডলারের দাম পরায় সূচকে ১.৫% উত্থানের জেরে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম যাচ্ছিল ৭৫০ টাকা। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার সোনার মোট মজুত পরিমাণ ২% কমে দাঁড়ায় ১,১৬৭.৮২ টন।
সোনার পাশাপাশি শুক্রবার দাম কমেছে রুপোর। এদিন এমসিএক্স সূচকে ০.৬% পতনের ফলে প্রতি কেজি রুপোর দাম যাচ্ছে ৬৭,৮৮২ টাকা। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে এদিন প্রতি আউন্স রুপোর দাম কমেছে ১%। গতকাল কিন্তু গয়না প্রেমীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে ৩.৫% বৃদ্ধির জেরে প্রতি কেজি রুপোর দাম বেড়ে দাঁড়ায় ২,৩০০ টাকায়।