অতিমারীকালীন পরিস্থিতিতে মানুষ সঞ্চয় নিয়ে আরও বেশি করে ভাবনা শুরু করেছে। বিশেষত স্বাস্থ্যখাতে খরচ এবং তার ব্যয়ভার বহন মানুষকে চিন্তিত করে তুলেছে। দিনের পর দিন সেই ভার কিছুটা লাঘব করতে বাজারে এলো সরল জীবন বীমা পলিসি। সামনের বছর পয়লা জানুয়ারি থেকে এই সরল জীবন বীমা পলিসি চালু হবে। এর আগে করোনা কবচ, করোনা রক্ষক এবং আরোগ্য সঞ্জীবনীর মত জীবন বীমা পলিসি গুলি চালু থাকলে ও এবার আসতে চলেছে সরল জীবন বীমা পলিসি।
ইনসিওরেন্স রেগুলেটরি এন্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া এই পলিসিটি চালু করতে চলেছে। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে 18 থেকে 65 বছর পর্যন্ত যে কেউ এ পলিসিটির সুবিধা নিতে পারেন, তবে 70 বছরের পর থেকে ম্যাচিউরিটি আর থাকবে না। পলিসি টার্ম 5 থেকে 40 বছর এবং পাওয়া যেতে পারে 5 লক্ষ থেকে 25 লক্ষ পর্যন্ত পলিসি স্কিম।
এই পলিসিটি অপেক্ষাকৃত সুবিধাজনক। টার্ম ইন্সুরেন্স নিয়ে যাদের তেমন ধারনা নেই তারাও সহজেই এই পলিসির সুবিধা নিতে পারবেন। অন্যান্য লাইফ ইনসিওরেন্স এর তুলনায় সহজেই সরল জীবন বীমা পলিসি কেনার পর তার মতো ঝক্কি ঝামেলা পোহাতে হবে না। অতিমারীকালীন পরিস্থিতিতে যেহেতু ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে তাই এই সরল জীবন বীমা পলিসি উপলব্ধ থাকবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মেও। এজেন্টদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বোঝানোর বদলে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মেই জানা যাবে সমস্ত তথ্য। এমনকি যারা অনলাইনে প্ল্যানটি কিনছেন তাদের জন্য প্রিমিয়ামে থাকবে কুড়ি শতাংশ ছাড়।
উপভোক্তার বার্ষিক আয় এই পলিসির জন্য কোন রকম বাধা হয়ে দাঁড়াবে না, নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষেরা যাদের দৈনিক আয় খুবই স্বল্প তারাও সহজেই এই জীবন বীমা পলিসি সুবিধা নিতে পারবেন। প্রিমিয়াম দেওয়ার ক্ষমতার উপর ভিত্তি করে পলিসিটি নেওয়া যেতে পারে তাই গ্রামাঞ্চলের মানুষের জন্য এই সরল জীবন বীমা পলিসি হতে পারে আশীর্বাদ। যেহেতু পলিসিটি খুব শীঘ্রই লঞ্চ হতে চলেছে সেহেতু এর ব্যাপারে জেনে নেওয়া দরকার কিছু তথ্য। সরল জীবন বীমা পলিসির সলভেন্সি রেশিও এবং ক্লেইম সেটলমেন্ট রেশিও সম্বন্ধে উপযুক্ত খোঁজখবর নিতে হবে। সলভেন্সি রেশিও জানায় সংস্থাটি কতটা বিশ্বাসযোগ্য তার সাথে সাথে এটাও জানতে হবে ক্লেইম সেটেলমেন্ট রেশিওর পরিমাণ কতটুকু। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়াই বাঞ্ছনীয়।