করোনা ভাইরাস গোটা বিশ্বকে প্রায় নাজেহাল করে দিয়েছে। বর্তমানে গোটা বিশ্বের প্রায় সমস্ত দেশগুলির কাছে করোনা মহামারীর আর এক রূপ। তর তরিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন কেড়ে নিচ্ছে। বিশ্বের সমস্ত উন্নত দেশের তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীরা এখনও পর্যন্ত করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে ব্যর্থ। গোটা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ। মৃত্যুর সংখ্যাটাও কম, পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে মৃত্যু। ইতিমধ্যেই গোটা বিশ্বে প্রায় ৪ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়ে গিয়েছে।
আর এই করোনা ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চিনের উহানে। কিন্তু কিভাবে এই করোনা ভাইরাস ছড়ালো, কবে ছড়ালো বা এই করোনা নিয়ে চিনের কোনো ষড়যন্ত্র আছে কিনা তা স্পষ্টভাবে জানায়নি চিন। কিন্তু গত ৬ জুন, আমেরিকার নেতৃত্বে বিশ্বের শক্তিশালী ৮টি দেশ মিলিত হয়ে গঠন করা হয়েছে ‘ইন্টার পার্লামেন্টারি অ্যালায়েন্স অন চায়না’ (IPAC)। এই IPAC র প্রধান উদ্দেশ্য হলো, আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য, নিরাপত্তা ও মানবাধিকার রক্ষা করা। কিন্তু কীভাবে করোনা ভাইরাস সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ল, সে বিষয়টি জোরালো ভাবে খতিয়ে দেখছে এই IPAC।
আর এই আন্তর্জাতিক জোটের চাপের মুখে পড়ে চিনা সরকার একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করল। এদিকে চাপের মুখে চিনা সরকার জানিয়েছে, উহানে প্রথম করোনা ধরা পড়ে ২৭ ডিসেম্বর এবং ১৯ জানুয়ারি প্রথম বোঝা যায় এই ভাইরাসটির বৈশিষ্ট্য সম্মন্ধে, কতটা ভয়ঙ্কর এই ভাইরাস। প্রকাশ করা শ্বেতপত্রে চিন জানিয়েছে, গত ২৭ ডিসেম্বর উহানের একটি হাসপাতালে নোভেল করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে এবং তারপরেই তারা একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করে। শুরু করে সমস্ত ধরনের টেস্টও। এছাড়াও চিন জানিয়েছে, প্রথম থেকেই তারা সতর্কতা অবলম্বন করেছে কিন্তু এই ভাইরাস অত্যন্ত সংক্রামক হওয়ায় এর সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব হয়নি।