নিউজবিনোদন

এবার ফেঁসে গেল রিয়া, সমস্ত কুকীর্তির পর্দা ফাঁস করলেন সুশান্তের প্রেমিকা

Advertisement
Advertisement

জোর ফাঁসান ফেঁসে গিয়েছে সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী। সুশান্ত মৃত্যু রহস্যের এবার ড্রাগ বা নিষিদ্ধ মাদক পাচার চক্রের গন্ধ পেয়েছে ইডি। সেই সূত্র ধরেই রবিবার NCB দফতরে রিয়াকে ডেকে পাঠানো হয়। NCB-র জেরায় মুখ খুলতে বাধ্য হলেন রিয়া।

ইতিমধ্যেই মাদকচক্রে নাম জড়িয়েছে সুশান্ত বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী, তার ভাই সৌভিক সহ আরও অনেকের। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর অফিসারদের জেরার চাপে দিদির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে রিয়ার ভাই সৌভিক চক্রবর্তী। আর এরপরেই রবিবার ভোর ৬.৩০টা নাগাদ NCB-র গোয়েন্দারা হানা দেয় অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর বাড়িতে। এদিন রিয়ার বাড়ি তল্লাশির পরে ১০.৩০-র মধ্যে NCB দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় অভিনেত্রীকে। নির্দেশ অনুযায়ী ঠিক সময়ে NCB দফতরে হাজির হন রিয়া।

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সেই জেরার মুখেই ভাই সৌভিকের সঙ্গে ১৭ মার্চ মাদক সংক্রান্ত হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের কথা স্বীকার করে নেন রিয়া। সূত্রের খবর, যদিও প্রথমে মুখে কুলুপ আটলেও NCB-র বারবার প্রশ্নের মুখে মুখ খুলতে বাধ্য হয় রিয়া। NCB- আধিকারিকরা প্রশ্ন করে সে তার ভাই সৌভিক চক্রবর্তীকে দিয়ে তিনি মাদক আনাতেন কিনা,সেই প্রশ্নের জবাবে রিয়া বলেন ‘হ্যাঁ’। যদিও কার জন্য মাদক আসতো, সেবিষয়ে মুখ খোলেননি তিনি। রবিবার টানা ৬ ঘণ্টা জেরার পর রিয়া চক্রবর্তীকে মুক্তি দেন নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর আধিকারিকরা। আজ সোমবার পুনরায় জেরার জন্য হাজির হয়েছেন রিয়া চক্রবর্তী। তবে কি ভাই সৌভিকের মতো রিয়াকেও আজই গ্রেফতার করবে NCB? অপেক্ষায় দেশবাসী।

প্রসঙ্গত,এক হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকেই নিষিদ্ধ মাদক পাচার চক্রের হদিশ পায় ইডি। সেই সমস্ত চ্যাটে মারিজুয়ানা, এমডিএমএ, সিবিডি ওয়ালের মতো বিভিন্ন নিষিদ্ধ মাদকের নাম উল্লেখ ছিল। আর সেই চ্যাট গুলি বিনিময় হয়েছিল রিয়া চক্রবর্তী, সুশান্তের হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা, জয়া সাহা, ও গোয়ার হোটেল ব্যবসায়ী গৌরব আচার্যর মধ্যে। সেই অনুযায়ী শুক্রবার একটানা জিজ্ঞাসাবাদের পর রাত ৯ টা নাগাদ মাদক সেবন ও পাচারের অভিযোগে সৌভিককে গ্রেফতার করে এনসিবি। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর জেরার মুখে সৌভিক চক্রবর্তী স্বীকার করেছে প্রয়াত অভিনেতা সুশান্তের বাড়িতে রিয়ার নির্দেশেই আনা হত মাদক। আর সেই ড্রাগ কেনা হত স্যামুয়েল মিরান্ডার মাধ্যমেই।সুশান্ত সিং রাজপুতের হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডাকে আটক করে ইডি।

শনিবার শৌভিক এবং স্যামুয়েল-সহ বাকিদের আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্যামুয়েল মিরান্ডা ও শৌভিক চক্রবর্তীকে এনসিবি-র হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। এ দিকে, মাদক-যোগে শনিবার সন্ধ্যায় সুশান্তের পরিচারক দীপেশ সাওয়ান্তকে গ্রেফতার করে নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো। শুক্রবার রাতে NCB দফতরে আনা হয় দীপেশকে।

Web Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles