পায়েল গাঙ্গুলি: করোনা আবহের মাঝেই কৃষকদের জন্য খুশির খবর। শুধুমাত্র কৃষকদের জন্য আজ বুধবার চললো দেশের প্রথম কিষান ট্রেন। সবজি, ফুল-ফল তাজা অবস্থায় তাড়াতাড়ি বাজারে পৌঁছাতে কৃষকদের জন্য এই ট্রেন আনলো কেন্দ্রীয় সরকার। এদিন ১৫১৯ কিমি রাস্তা পাড়ি দেবে এই কিষান ট্রেন। সকাল ১১ টায় ছাড়ে এই ট্রেন। ৩২ ঘণ্টার সফর শেষ করে আগামীকাল সন্ধ্যে পৌনে সাতটায় দানাপুর পৌঁছবে ট্রেন আজকের পর থেকে প্রতি সপ্তাহে চলবে একটি করে কিষান ট্রেন।
প্রচুর পরিমাণে তাজা সবজি, পেয়াঁজ, ফুল ও অন্য ফসলের উৎপাদন হয় মূলত নাসিক ও সংলগ্ন এলাকায়। সেই সমস্ত সবজি ফুল সঠিক সময় জায়গামতো পৌঁছতে না পারলে সেগুলির নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। কিন্তু এবার থেকে সেই চিন্তার অবসান। অল্প সময়ের ব্যবধানে এই কিষান ট্রেন সবজি, ফুল, ফল বিক্রির জন্য অন্য জাগায় পৌঁছে দেবে। ট্রেনের কোচগুলো থাকবে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত যাতে কোনোভাবেই নষ্ট না হয় ফুল সবজি।
উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারি মাসে বাজেট পেশের সময় কিষান ট্রেন চালানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এরপর রেল মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানায়, নষ্ট হয়ে যাওয়ার আগেই সবজি ফল যাতে দ্রুত পৌঁছানো যায় তার জন্য সাহায্য করা হবে কৃষক। যেমন কথা তেমন কাজ। চালু হয়ে গেল দেশের প্রথম কিষান ট্রেন। বলে রাখা ভালো এই ট্রেন নাসিক রোড, মনমাড়, জলগাও, ভুসাবল, বুরহানপুর, খন্ডবা, ইটারসি, জবলপুর, সতনা, কটনি, মণিকপুর, প্রয়াগরাজ, ছৌকি, দীনদয়াল উপাধ্যায় নগরসহ অনেক জায়গায় এইসব কাঁচা সবজি ও ফল পৌঁছে দেবে।
প্রসঙ্গত, রেল মন্ত্রী থাকাকালীন রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় প্রথমবার প্রস্তাব দিয়েছিলেসব সবজি ও ফল তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায় সেগুলি বিক্রির জন্য এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় দ্রুত পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারে রেল। তার জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচসমেত ট্রেন চালানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার রাজ্যের প্রস্তাবিত সেই প্রস্তাবে প্রায় ১১ বছর পর হাঁটল কেন্দ্রীয় সরকার।