দেশনিউজ

পাঁচ মরণাপন্নকে জীবন দিয়ে বিদায় নিলো ২০ মাসের কন্যা, শরীর নেই সবার হৃদয়ে জুড়ে রইল ধনিষ্ঠা

Advertisement
Advertisement

মৃত্যুতেও জীবিত থাকলো সে। ভারতের সর্বকনিষ্ঠ মরণোত্তর অঙ্গদাতা আবার‌ও হাসি ফোটালো কিছু মানুষের মুখে। দিল্লির রোহিণী অঞ্চলের বাসিন্দা ধনিষ্ঠা মাত্র দুই বছর বয়সে মারা যায়। কিছুদিন যমে-মানুষে টানাটানির পর মৃত্যু হয় দু’বছরের এই ছোট্ট পরীর। কিন্তু তার মৃত্যুর পর তাকে হারিয়ে যেতে দেননি তার বাবা-মা। মরণোত্তর দেহদানের মাধ্যমেই তাঁদের মেয়েকে তাঁরা বাঁচিয়ে রাখলেন।

গত ৮ জানুয়ারি দিল্লির শ্রী গঙ্গানগর হাসপাতালে ভর্তি হয় ধনিষ্ঠা। ব্রেন ডেথে মৃত্যু হয় তিনদিন পর। শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েন বাবা-মা। একমাত্র মেয়েকে হারানোর শোকে পাথর হয়ে গেলেও তাঁদের সামাজিক কর্তব্য ভোলেননি। তার হার্ট, দুটি কিডনি, যকৃত এবং কর্নিয়া প্রতিস্থাপিত হয়েছে 5 জন মানুষের দেহে।

বাবা আশীষ কুমার এবং মা ববিতা কী করে পারলেন এই সিদ্ধান্ত নিতে? সন্তানের মৃত্যুর পর কী করে তাঁরা সামাজিক কর্তব্য পালন করে গেলেন? মানবিকতার এমন উদাহরণ স্থাপন করতে পারলেন কী করে তাঁরা? জিজ্ঞেস করা হলে তাঁরা জানান, “হাসপাতালে বহু রোগীর সাথে দেখা হতো যারা প্রতিস্থাপনের জন্য অঙ্গ খুঁজছেন কিন্তু পাচ্ছেন না। আমার মেয়ে মারা গিয়ে এভাবে বেঁচে থাকবে বহু মানুষের মধ্যে, তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত।”

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার অন্যান্য অঙ্গগুলিও যথেষ্ট ভাল অবস্থায় রয়েছে। ভারতের ১০ লক্ষ মানুষের মধ্যে মাত্র ০.২৬ শতাংশ মানুষ অঙ্গ দান করেন, যা বিশ্বের সব দেশের মধ্যে সবথেকে কম। তাই শ্রী গঙ্গানগর হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডি এস রানা এই পরিবারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তিনি জানিয়েছেন, “প্রায় গড়ে পাঁচ লক্ষ মানুষ প্রতিবছর অঙ্গদানের অভাবে মারা যায়। ধনিষ্ঠার পরিবারের এই সিদ্ধান্ত হয়তো বাকিদের অনুপ্রাণিত করবে অঙ্গদানের জন্য।”

Related Articles