নিউজরাজনীতিরাজ্য

ফের দল বদলের পালা, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাচ্ছেন শতাব্দী রায়?

Advertisement
Advertisement

বীরভূমের বিধায়ক শতাব্দী রায়কে নিয়ে এবার জল্পনা শুরু হলো। “শতাব্দী রায় ফ্যানস ক্লাব” নামে একটি পেজ থেকে বৃহস্পতিবার তাঁর একটি বয়ান প্রকাশিত হয়। যার শিরোনাম ছিলো, “বীরভূমে আমার নির্বাচন কেন্দ্রের মানুষের প্রতি”। পোস্টে অভিযোগ জানানো হয়, বিভিন্ন সমাবেশে তিনি যোগদান করতে চাইলেও তাঁকে জানানো হয় না। আগামী শনিবার ১৬ই জানুয়ারি দুপুর ২ টোয় নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ইঙ্গিতও জানিয়েছেন তিনি তাঁর ওই পোস্টে।

এই পোস্টের পর থেকেই তৃণমূলের অভ্যন্তরে জল্পনা শুরু হয়ে গেছে। কারণ ইতিমধ্যে মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার বিকেল তিনটে ফেসবুক লাইভ করে নিজের অবস্থান ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন। একই দিনে সাংসদ এবং মন্ত্রী উভয় বিক্ষুব্ধ হলে তার প্রভাব নির্বাচনে পড়তে পারে বলে ধারণা। শতাব্দীর এই পোস্টের পরে তাঁর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। তাঁর হিতৈষী জানিয়েছেন, ফেসবুক পোস্টের পরে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হতে পারে ভেবেই সাংসদ ফোনটি বন্ধ রেখেছেন।

ফেসবুক পোস্টে শতাব্দী জানিয়েছেন, “২০২১ সবার খুব ভালো কাটুক। সবাই সুস্থ থাকুক। আপনারা জানেন আপনাদের জন্য কাজ করতে আমি গর্বিত বোধ করি। এবং আপনাদের সমস্ত সমাবেশে মানুষের কাছে আমি পৌঁছে যেতে চাই। কিন্তু আজকাল দলের অনেক সমাবেশের কথা আমাকে জানানো হচ্ছে না। না জানালে আমি আপনাদের কাছে কী করে পৌঁছাব? গত ১০ বছরে আমি আপনাদের জন্য কাজ করার চেষ্টা করেছি। আমার বাড়ির থেকে বেশি সাধারণ মানুষের সাথে আমার সংযোগ গড়ে তুলেছি। এটা অন্তত আমায় শত্রুরাও স্বীকার করবে।”

তিনি আরো জানিয়েছেন, “২০০৯ সালে আপনারাই আমাকে সাংসদ করে কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন। মানুষের ভালোবাসা এবং মানুষের পাশে থাকার জন্য আমার যাত্রা শুরু। মানুষ হিসেবে আমি এমন সিদ্ধান্ত নিতে চাই যাতে আমি আজীবন আপনাদের পাশে থাকতে পারি। এবং সে রকম কোনো সিদ্ধান্ত নিলে শনিবার দুপুর দু’টোর পরে জানানো হবে ফেসবুক লাইভে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন শতাব্দী। তারপর থেকে বারবার তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সাথে প্রকাশ্য সংঘাতের খবর কানে এসেছে। দিদির স্নেহধন্য অনুব্রত বারবার শতাব্দীকে না জানিয়ে বিভিন্ন সভা সমাবেশ আয়োজন করেছেন। এবং তার খবর পর্যন্ত দেওয়া হয়নি শতাব্দীকে। তা নিয়ে বিক্ষুব্ধ তিনি শনিবার কী সিদ্ধান্ত নেন, তার অপেক্ষায় রাজ্যবাসী।

Related Articles