নিউজ

৭০ লক্ষ টাকা বেতনের চাকরি পেল ইলেকট্রিক মিস্ত্রির ছেলে, বাঁধভাঙ্গা খুশি বাবার চোখে মুখে

Advertisement
Advertisement

মেধা অপেক্ষা করে না কোনো অনুমতির কোনো বাধার। প্রতিবন্ধকতাকে দূরে ঠেলে দেয় অদম্য ইচ্ছাশক্তি। এই যেমন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের রাস্তার আলোতে পড়াশোনা করতেন, মাইলস্টোন দেখে সংখ্যা শিখেছিলেন, আবার মেধার জোরে সুনিতা উইলিয়ামস পাড়ি দিয়েছিলেন মহাকাশে। আর এইরকম প্রতিভাবান মানুষ আমাদের চারপাশে রয়েছে। যারা অধ্যবসায়, কঠোর পরিশ্রমে সমস্ত আর্থিক, শারিরীক প্রতিবন্ধকতাকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে। এমনই একটি মেধাবী ছাত্রের নাম মোঃ আমির আলী তার বাবা পেশায় একজন ইলেকট্রিশিয়ান। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী আমির টাকার অভাবে ঝাড়খণ্ড এনআইটিতে সুযোগ পেয়েও করতে পারেননি আর্কিটেকচার কোর্স।

এরপর 2015 সালের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা ভর্তি হওয়ার পর সেখানেই একটি বিশেষ গবেষণা পত্র প্রকাশ করেন তিনি‌। ইলেকট্রনিক ভেহিকেল চার্জ দেওয়ার নতুন পন্থা আবিষ্কার করেছিলেন তিনি। তার মতে এই ইলেকট্রনিক কার চার্জ করাটা ভারতের কাছে একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। তার আবিষ্কার করা থিওরি সফল হলে চার্জিং খরচ শূন্যে নেমে আসবে। তার প্রজেক্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে‌।

এরপরে এই প্রজেক্ট প্রথম নজর কাড়ে নর্থ ক্যারোলিনার স্যাটেলাইট ফটো মোবাইল সংস্থা ফিউশন মোটর রেকস্ এর। সেখান থেকে আলীর জন্য আসে দুর্দান্ত চাকরির অফার, ব্যাটারি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং পদের জন্য আসে অফার। মার্কিন মুলুকে ভারতীয় মুদ্রায় 70 লক্ষ টাকার চাকরি পান আমির।

যেহেতু বাবা ইলেকট্রিশিয়ান তাই ছেলেও সেই পথ ধরে সারা বিশ্বের কাছে এক অনবদ্য অবদান রাখলেন। ছেলের সকলের স্বভাবতই বাঁধভাঙ্গা খুশি বাবার চোখে মুখে। এই সাফল্যের হাত ধরে ছেলে যেন আরো উন্নত শিখরে পৌঁছে যায় এটাই কামনা তার বাবার।

Web Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles