৫ ই জুলাই পৃথিবীবাসী সাক্ষী থাকবে এক বিরল ঘটনার, আকাশে দেখা যাবে ‘বাক মুন’ চন্দ্রগ্রহণ
একুশে জুন রবিবার বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দেখা গিয়েছিল বিরল রিং অফ ফায়ার। বিরল সূর্যগ্রহণের সাক্ষী থেকেছিল বাংলাও। এবার আরো একটি মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী থাকতে চলেছেন সাধারন মানুষ। আগামী 5 জুলাই চন্দ্রগ্রহণ দেখার সাক্ষী থাকতে চলেছেন সাধারণমানুষ।
তবে এই গ্রহণ বিশ্বের সব দেশ থেকে দেখা যাবে না বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রকাশিত সংবাদ জানাচ্ছে এই গ্রহণ দেখা যাবে আমেরিকার উত্তর এবং দক্ষিণ অংশ থেকে। ভারত থেকে এই গ্রহণ দেখা যাবে না বলেই মনে করা হচ্ছে যদিও প্রকাশিত সংবাদ মাধ্যমে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন এই গ্রহণ বিরল, কারণ এটি উপচ্ছায়া চন্দ্রগ্রহণ। এই গ্রহণের সময় চাঁদ সূর্য এবং পৃথিবী সরাসরি এক সরলরেখায় চলে আসে। এই সময় চাঁদের আলো অন্য দিনের তুলনায় কম হয়। চাঁদ ও সূর্যের মাঝে পৃথিবী চলে আসায় এ গ্রহণ হয়। পৃথিবী মধ্যে থাকায় চাঁদের উপর সূর্যের আলো বাধাপ্রাপ্ত হয়।
আপাতত জানা গিয়েছে এই গ্রহণ স্থায়ী হবে 2ঘন্টা 43 মিনিটের একটু বেশি। সাধারণত চন্দ্রগ্রহণ বৈজ্ঞানিক কারণেই হয় তবুও একে ঘিরে কিছু মিথ প্রচলিত রয়েছে। পুরান মতে ভগবান বিষ্ণুর কূর্ম অবতার এবং সমুদ্রমন্থনের সঙ্গে এই চন্দ্রগ্রহণের যোগ রয়েছে। অমৃতের সন্ধানে দেবতারা এবং ওষুধ যখন এই মন্থন করছিল তখন চন্দ্রগ্রহণের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
প্রসঙ্গত, জুলাই মাসের চাঁদকে ‘বাক মুন বলা হয়ে থাকে। আর বাক মুনের সময়েই সংগঠিত হচ্ছে এই চন্দ্রগ্রহণ। ‘বাক’ ইংরেজি বিশেষ ধরনের হরিণকে বোঝানো হয়। আর সেই বিশেষ হরিণের নাম অনুসারেই জুলাইয়ের চাঁদকে ‘বাক মুন’ বলা হয়। এছাড়াও অনেক সময় এই চাঁদকে আবার ‘থান্ডার: মুনও বলা হয়।
হিন্দু শাস্ত্র মতে গ্রহণ খালি চোখে দেখা সম্ভব নয়। তবে বৈজ্ঞানিকদের মতে খালি চোখে গ্রহন দেখা যেতে পারে তবে টেলিস্কোপ এর সাহায্যে এই গ্রহনের সৌন্দর্য তীব্র ভাবে ধরা পড়বে।