দেশনিউজ

কপালে বড় বড় চোখ নিয়ে জন্ম নিলো বিরল এক ছাগল, ‘ঈশ্বর’জ্ঞানে আশীর্বাদ নিতে হিড়িক উৎসুক ভক্তদের

Advertisement
Advertisement

একটি ছাগল ছানা নিয়ে মাতামাতি করা হচ্ছে উত্তরপ্রদেশের বিজনৌর জেলায় একটি গ্রামে। কিন্তু এর আগে কোথাও ছাগল ছানা নিয়ে এত মাতামাতি হয়নি। তবে এবার এত মাতামাতি কেন? সূত্রে জানা গেছে, এটা ঠিক অন্যান্য ছাগল ছানার মতো নয়, তাদের থেকে দেখতে বেশ আলাদা এবং ভয়ানক।

বর্তমানে ওই এলাকার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ এখন এই ছাগল ছানাটি। শুধুমাত্র স্থানীয় লোক না, এলাকার বাইরের শত শত লোক এই ছোট্ট প্রাণীটিকে দেখার জন্য ভীড় করেছে গ্রামে। স্বাভাবিক ছাগল ছানার মত দেখতে নয় এটি। এই ছোট্ট প্রাণীটির কপালে দু’টি বড় বড় চোখ। আর ঠিক এই কারণের জন্য‌ই দেখতে ভয়ানক লাগছে এটিকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবি এখন সকলের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে।

ছবিটিতে দেখা গেছে, বাচ্চা ছাগলটির কপালে দুটি ছত্রের সঙ্গে একটি বড় চোখের কোটর রয়েছে এবং এটির বাঁকানো মুখ এবং অদ্ভুত চেহারা দেখলে ভয় পাওয়া স্বাভাবিক। কপালে চোখ থাকায় তাকে ভগবানের দূত বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা, এমনই ধারণা।এরফলে সমস্ত প্রকার সেবা যত্ন পাচ্ছে এটি। প্রসঙ্গত, নূরপুর পুলিশ সার্কেলের মধ্যে মোড়াহাট গ্রামের বাসিন্দা মাসিয়ার কাছে এই ছানাটি জন্মেছে। তিনি জানান, তিনি ছাগল পালন করেন, যার মধ্যে একটি ছাগল দু’দিন আগে দু’টি বাচ্চার জন্ম দিয়েছিল। একটি বাচ্চা স্বাভাবিক হলেও, অন্যটি ছিল এক্কেবারে আলাদা। কথাটি রাষ্ট্র হতেই বিভিন্ন দিক থেকে লোকেরা ছাগল ছানাটিকে দেখতে ভিড় শুরু করে। এমনকি স্থানীয় বাসিন্দা কেউ কেউ দাবিও করছে যে, কপালের ‘তৃতীয় চক্ষু’ থাকায় সে শিবের অবতার রূপে জন্মগ্রহণ করেছে।

শুধু তাই না, কিছুজন ছাগল ছানাটিকে নৈবেদ্য খাওয়ানো শুরু করে দিয়েছিল। মাসিয়ার কথা অনুসারে, তিনি বিশ্বাস করেছিলেন যে এটি তাঁর জন্য ভগবানের ‘আশীর্বাদ’। যদিও, আঞ্চলিক পশু বিশেষজ্ঞ পুষ্কর রথি অবশ্য জানিয়েছেন, “প্রাণীটি অস্বাভাবিক এবং এ জাতীয় প্রাণী বেশি দিন বাঁচে না। এটি উদ্ভট হলেও ভগবানের আশীর্বাদ নয়।”

Related Articles