গত কয়েক মাস ধরেই সীমান্তে উত্তেজনা ক্রমশ বেড়েই চলছিল। তারপর গত ১৫ ই জুন ভারতীয় এবং চিনা সেনার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেনাস্তরে লাগাতার বৈঠকের পরেও কোনো সমাধান সূত্র মেলেনি। চীন সামরিক দিক দিয়ে ভারতের থেকে কিছুটা এগিয়ে। চীন সেনার অস্ত্র ভান্ডারে ট্যাংকের সংখ্যাও বেশি। তাই ভারতীয় সেনাকে আরও শক্তিশালী করতে উঠে পড়ে লেগেছে কেন্দ্র সরকার। এমনিতেই চলতি মাসেই শক্তিশালী রাফাল যুদ্ধবিমান হাতে পেতে চলেছে ভারতীয় সেনা। এরমধ্যেই ভারত স্পাইক অ্যান্টি ট্যাংক মিসাইল কিনতে চলেছে ইজরায়েলের কাছ থেকে।
সূত্রের খবর, ভারত চীন সেনাবাহিনীর প্রধানদের মধ্যে সমঝোতার কথা হলেও পূর্ব লাদাখে ব্যাপক অস্ত্রশস্ত্র জমা করছে চীনের লালফৌজ। বিশেষ করে এইজন্য ভারতও নিজেদের শক্তি বাড়াতে ইজরায়েল থেকে লঞ্চার এবং ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে চলেছে। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, দুশোটির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র এবং বারোটি লঞ্চারের বরাত ইজরায়েলকে দেবার প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, গত বছর বালাকোটে প্রত্যাঘাতের পর একই সংখ্যক লঞ্চার এবং ক্ষেপণাস্ত্র কেনা হয়েছিল। এই লঞ্চার এবং ক্ষেপণাস্ত্রগুলো পাক সীমান্তের সামনে মজুত করেছিল সেনাবাহিনী, এমনটাই সূত্রের খবর। চীন সেনাবাহিনীর বারবার আগ্রাসন ঠেকাতে অর্থাৎ লালফৌজকে জব্দ করতে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে ৫০০ কোটি টাকা ব্যায়ের ক্ষমতা দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। ওই ক্ষমতা ব্যাবহার করে ভারতীয় সেনাকে আরও শক্তিশালী করতে সেনাবাহিনী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইজরায়েল থেকে অস্ত্রসস্ত্র কিনতে চলেছে।
এছাড়া ভারতীয় সেনাবাহিনীকে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী সেনাবাহিনী তৈরি করতে কেন্দ্র সরকার কিছুদিন আগেই অতিরিক্ত ৩৩ টি যুদ্ধবিমান কেনার বরাত দিয়েছিল। যার মধ্যে ১২ টি সুখোই যুদ্ধবিমান রাশিয়ার অনুমতি নিয়ে দেশেই তৈরি করবে Hindustan Aeronautics Limited (HAL)। এই বিমানগুলিতে থাকবে অত্যাধুনিক টার্গেটিং সিস্টেম সহ ওয়ারফেয়ার স্যুট। জানা গেছে এই প্রকল্পে মোট খরচ পড়বে ১০ হাজার ৭৩০ কোটি টাকা।