সাম্প্রতিককালের মধ্যে অভূতপূর্ব বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে বাংলা একদিকে মহামারীর জেরে চলছে লকডাউন, যাতে সাধারন কাজকর্ম এলোমেলো হয়ে রয়েছে অপরদিকে এগিয়ে আসছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় আমফান। বলা হচ্ছে 1999 সালের পর এই প্রথম সুপার সাইক্লোন ঘনীভূত হচ্ছে বঙ্গোপসাগরে। সেই প্রবল প্রতাপশালী ঘূর্ণিঝড় সামান্য শক্তিক্ষয় করে কাল বুধবার সুন্দরবনের কাজ দিয়ে রাজ্যের উপকূলে আছড়ে পড়বে।
এই আমফানের সঙ্গে মোকাবিলায় রাজ্যের পক্ষ থেকে সব জেলাতে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। রাজ্যের হেল্পলাইন নম্বর দেয়া হয়েছে 1070 । নবান্ন ও সেচ দপ্তর থেকে কন্ট্রোলরুম সবকিছুতেই নজরদারি রাখছে। মুখ্যমন্ত্রী এইদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে জানান সংশ্লিষ্ট সব দফতরকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে গিয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। খোলা হয়েছে ত্রাণশিবির, বাড়ি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা থাকলে শিবিরে আসবে আবেদন করা হয়েছে। এদিন রাতে তিনি নবান্নেই থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।
প্রতিটি জেলা প্রশাসনের সাথে বৈঠক করে তিনি বলেন – ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে দু 24 পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রভাব পড়তে পারে মেদনীপুরেও। মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে কাজ করছে টাক্স ফোর্স। মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে বারবার বলা হচ্ছে যাতে কাল ঘর থেকে কেউ না বেরোন। রাত জেগে রয়েছে বিজ্ঞানীরা, বৃহস্পতিবার সকালে বিপদ কাটার পরে তাদের ছুটি। কারণ এই কঠিন অবস্থায় সবচেয়ে বড় হাতিয়ার ঘূর্ণিঝড়ের নিখুঁত পূর্বাভাস আর বুধবার পর্যন্ত 100% সাফল্য ধরে রাখার চেষ্টা করছেন আবহাওয়াবিদরা। প্রসঙ্গত মৎস্যজীবীদের সমুদ্র যেতে নিষেধ করা হয়েছে এদিকে কাকদ্বীপ ক্যানিং মহকুমা এলাকা সহ আরো কিছু স্থানে NDRF টিম ও 4 টি SDRF টিম মোতায়েন করা হচ্ছে।