করোনা প্রতিরোধে ১৭ ই মে পর আরও বাড়বে লকডাউন এর সময়সীমা। গতকাল এমনটাই ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গতকাল প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, চতুর্থ পর্যায়ের লকডাউন এর সময়সীমা অনেকটাই সম্প্রসারিত হবে তবে এই লকডাউন হবে আগের তিনটি পর্যায় থেকে অন্য রকম। বিশেষজ্ঞদের মতে করোনাভাইরাস এর রেশ এখনো থাকবে বেশ কিছুদিন। কিন্তু তাই বলে একটা ভাইরাস সারা বিশ্বের মানুষের জীবন নিয়ন্ত্রণ করবে তা হতে পারে না। করোনা কে হারাতে হলে আমাদের সর্বদা সচেতন থাকতে হবে। করোনা কে সঙ্গে নিয়েই বাঁচতে হবে আমাদের। বেঁচে থাকার জন্য আমাদের সর্বদা মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে এবং একে অপরের থেকে সর্বদা দূরত্ব নিয়ন্ত্রণ করে থাকতে হবে।
গতকাল মোদি বলেন, চতুর্থ পর্যায়ের লকডাউন হবে একদম অন্যরকম। এই লকডাউনে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় থাকবে। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে তার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে রাজ্যগুলির সাথে পরামর্শ করে। কোন কোন রাজ্যে কতটা ছাড় থাকবে সেই বিষয়ে ১৮ ই মে এর মধ্যে কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত হবে তালিকা। দেশের জনগণের উদ্দেশ্যে একটাই অনুরোধ তারা যেন কেন্দ্রের নির্দেশ মান্য করে তাদের জীবন এগিয়ে নিয়ে যায়। এদিন প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে দেশের মানুষকে আর্থিক সহায়তার জন্য ২০ লক্ষ কোটি টাকার একটি প্যাকেজ ঘোষণা করেন। তার কথায়, “২০২০ সালে এই কুড়ি লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ আত্মনির্ভর ভারত অভিযান কে নতুন গতি দেবে। এই প্যাকেজ ভারতকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।” প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন এই প্যাকেজে দেশের সমস্ত শ্রেণীর মানুষের জন্য। এতদিন শুধু আমাদের দেশের গরিব, দুঃস্থ শ্রমিক, মৎস্যজীবী, কৃষকবন্ধুরা, যারা এই সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে কষ্ট করেছেন তাঁদের কষ্ট লাঘব করতেই এই প্যাকেজ ছিল। কিন্তু বর্তমানে এই প্যাকেজ কৃষি, এমএসএমই, মধ্যবিত্ত, শ্রমিক সব শ্রেণীর জন্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন আমাদের সামনে এখন দুটো চ্যালেঞ্জ। এক; করোনা প্রতিরোধ করা, দুই; দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো শক্ত করা। জীবনযাপনের মান সাধারন রেখেই এই দুই চ্যালেঞ্জ জিততে হবে আমাদের। আমাদের ধীরে ধীরে লকডাউন প্রত্যাহার করতে হবে। কিন্তু একথা মনে রাখতে হবে যতদিন না পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের সঠিক টিকা বা ভ্যাকসিন আবিষ্কার হচ্ছে ততদিন করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে এই লড়াই জারি থাকবে। করোনি ভাইরাসের সংক্রমণ দেশে দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, লকডাউন এর নিয়ম আরও কঠোর না হলে এই ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকানো দুষ্কর হয়ে পড়বে।