মৌমিতা সাহা: প্রথমে কে এসেছিল ‘মুরগি নাকি মুরগির ডিম?’ এই প্রশ্নটি আমরা প্রায় সকলের মুখেই বলতে শুনেছি, এবং ধাঁধা হিসেবে এই প্রশ্নটি করে অনায়াসেই যে কারো মস্তিষ্ক ঘুরিয়ে দেওয়া যায়। তবে এর উত্তর ভাবতে গেলে একবার মনে হয় মুরগি পরক্ষনে মনে হয় ডিম আবার মনে হয় নাহ্ মুরগি আবার মনে হয় নাহ্ ডিম। এভাবেই একটি বৃত্তাকার ঘুরতে থাকে, যার শেষ কোন সঠিক উত্তর পাওয়া যায় না।
বহু বিজ্ঞানী এবং সমাজতত্ত্ববিদ যুগ যুগ ধরে এই জটিল ধাঁধা সমস্যার সমাধানে মেতেছেন। কিন্তু তারপরেও এই প্রশ্নের উত্তর এক অজানা রহস্যের মধ্যেই রয়ে গিয়েছে। শক্ত সামর্থ্য যুক্তি দিয়ে এই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে কেউই হার মানাতে পারেনি। কিন্তু এইবার এই সমস্যার সমাধান বের করা সম্ভব হয়েছে! দীর্ঘকাল ধরে গবেষণার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পৃথিবীতে ডিম নাকি মুরগি কার অস্তিত্ব আগে রয়েছে!।
মার্কিন সাংবাদিক রবার্ট ক্রলউইচ দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এই নিয়ে গবেষণা করেছেন এবং তারই ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে যে,” প্রায় কয়েক শত বছর আগে পৃথিবীতে মুরগির মতো দেখতে একটি বড় আকারের পাখি ছিল। সেই পাখির সঙ্গে মুরগির জিনগত অনেকটা মিল থাকলেও তা পূর্ণবিকাশ যুক্ত কোন মুরগি ছিল না। বিজ্ঞানীদের মতে, সেই পাখিটির নাম ছিল ‘প্রোটো চিকেন’। সেই পাখিটি একটি ডিম পেরেছিল। এবং সেই ডিমে তার পুরুষ সঙ্গী অর্থাৎ প্রোটো মোরগ নতুন কিছু বৈশিষ্ট্য যোগ করে নিষিক্ত করে। তারপর সেই ডিমের আরো কিছু বিবর্তন গত পরিবর্তন ঘটে এবং সেই পরিবর্তিত নতুন প্রজাতি তখনকার সেই প্রোটো চিকেন বা প্রোটো মোরগটির জিনগত বৈশিষ্ট্য থেকে বেশ অনেকটা আলাদা।
বিজ্ঞানীদের বক্তব্য অনুযায়ী, সেই ডিম ফুটে যে নতুন প্রজাতির পাখিটি বেরিয়েছিল সেটি হল আমাদের আজকের মুরগির আদি অর্থাৎ প্রকৃত পূর্বপুরুষ। যদিও তখনকার সেই নতুন প্রজাতির পাখির সঙ্গে আজকের মুরগির অনেকটাই পার্থক্য রয়েছে তবুও বিজ্ঞানীদের মত অনুযায়ী ধরা যেতে পারে যে আগে ডিম এসেছিল তারপর মুরগি। তবে মজার বিষয় হলো ঘটনাটি থেকে আরও একটি নতুন প্রশ্ন করা যেতে পারে! এবং তা হল , কোনটি প্রথম এসেছিল প্রোটো মুরগি নাকি প্রোটো মুরগির ডিম?