পায়েল গাঙ্গুলি: ‘জোর যার মুলুক তার’ এই চলতি কথাটির সাথে পরিচিত অনেকেই। শুধু কথাতেই নয় এবার তা প্রমাণ করলো চিন। আর যীশু নয় এবার প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ছবি টাঙাতে হবে খ্রিস্টধর্মালম্বীদের এমনটাই নির্দেশ চিনের।কিছুদিন আগেই কমিউনিস্ট পার্টির এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছিলেন, নয়া কোরানে এমন কোনও কথা লেখা থাকবে না যা দেশ ও দলের মতবাদের পরিপন্থী। বর্তমানের ইসলামিক ধর্মগ্রন্থটি থেকে ‘মৌলবাদে উসকানি’ দেয় এমন সমস্ত পরিচ্ছদ বাদ দেওয়া হবে।
গত নভেম্বর মাসেই এই সিদ্ধান্ত নেয় ‘জনজাতি ও ধর্ম বিষয়ক কমিটি। শুধু কোরান নয়, বাইবেলেরও নয়া সংস্করণ তৈরি করতে চলেছে চিন। সব মিলিয়ে সংখ্যালঘুদের ধর্ম আচারে কড়া নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে উঠেপড়ে লেগেছে প্রশাসন। এমনকি চিন সরকার বাড়িতেও যিশুর ছবি না রাখার নির্দেশ জারি করেছে। তার বদলে প্রেসিডেন্ট জিনপিং ও মাও-এর ছবি টাঙানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ অনেকের। শুধু তাই নয় এমনকি চিনের শাংসি প্রদেশের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি থেকে যিশুর ছবি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এমনকি এও অভিযোগ উঠেছে গত শনিবার ও রবিবার আনহুই প্রদেশের একাধিক গির্জার ক্রশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। ওইসব প্রদেশে খ্রিস্টানরা একজোট হয়ে চিন সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদও শুরু করেছে।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, ইসলামিক সন্ত্রাসে অশান্ত জিনজিয়াং প্রদেশ নিয়ে উদ্বেগে ভুগছে বেজিং। ফলে সমস্ত মসজিদ ও ধার্মিক অনুষ্ঠানে কড়া নজর রেখেছে সে দেশের প্রশাসন। উল্লেখ্য, উইঘুর মুসলিমদের প্রতি চিনা প্রশাসনের নীতি বিশ্বের অজানা নয়। ‘শুদ্ধিকরণের’ নামে জিনজিয়াং প্রদেশের প্রায় ১০ লক্ষ উইঘুরকে ‘ডিটেনশন ক্যাম্প’ বা বন্দি শিবিরে রাখা হয়েছে।