আন্তর্জাতিকনিউজ

ভারত-চীন সম্পর্কে গলছে বরফ! বড়সড় সিদ্ধান্তের পথে কেন্দ্র

সম্প্রতি ভাঁটা পড়েছে দুই প্রতিবেশী ভারত ও চিনের মধ্যে গালওয়ানে সংঘর্ষের জেরে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল, তাতে। দু’দেশই সেনা সরিয়েছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কিছু অংশ থেকে। বাণিজ্যেও তার প্রভাব পড়েছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স কেন্দ্রের দুই শীর্ষ আধিকারিককে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, উৎপাদন ক্ষেত্রে নয়াদিল্লি ছাড়পত্র দিতে চলেছে প্রায় ৪৫টি চিনা লগ্নিকে। তার মধ্যে রয়েছে গ্রেট ওয়াল মোটর, এসএআইসি মোটর কর্পোরেশনের মতো সংস্থাও।

উল্লেখ্য, গত বছর থেকে আটকে ছিল এই সমস্ত লগ্নির প্রস্তাব। ভারত চিনা লগ্নি, চিনা পণ্য আমদানি নিয়ে কড়াকড়ি শুরু করে লাদাখে চিনা আগ্রাসন ও গালওয়ানে সংঘর্ষের পর। যার জেরে ধামাচাপা পড়ে যায় ১৫০টি প্রকল্পের প্রায় ২০০ কোটি ডলারের প্রস্তাব। বিপাকে পড়ে জাপানি এবং মার্কিন যে সংস্থাগুলি হংকংয়ের মাধ্যমে লগ্নি করে। অবশেষে এই সমস্যার জট কাটতে চলেছে।

দুই আধিকারিক জানিয়েছেন, অধিকাংশ চিনা সংস্থাই ছাড়পত্র পাবে যারা লগ্নির প্রস্তাব দিয়েছিল। এর মধ্যে বেশিরভাগই যুক্ত উৎপাদন শিল্পের সঙ্গে, যা স্পর্শকাতর নয় জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বলেই মনে করা হচ্ছে। সম্ভাব্য তালিকায় গ্রেট ওয়াল মোটর এবং এসএআইসি মোটর কর্পোরেশনের নাম রয়েছে বলে জানা গেছে সরকারের দুই সূত্র এবং শিল্প মহল সূত্রে। যাতে চিনা সংস্থা গ্রেট ওয়াল মোটর ভারতে সংস্থার গাড়ি কারখানা কিনতে পারে, সে জন্য জেনারেল মোটরস তাদের সঙ্গেই যৌথভাবে ছাড়পত্র চেয়েছিল। হতে পারে ২৫-৩০ কোটি ডলারের চুক্তি।

জানা গিয়েছে, গ্রেট ওয়াল মোটরের ভারতে ১০০ কোটি ডলার লগ্নির পরিকল্পনা রয়েছে আগামী কয়েক বছরে। তারা ভারতে গাড়ি বিক্রি করতে চায় চলতি বছর থেকেই। পরিকল্পনায় রয়েছে বৈদ্যুতিন গাড়িও। তারা ব্যবসা করতে চায় সরকারি সমস্ত নীতি, আইন মেনেই বলে জানিয়েছে। ২০১৯ থেকে এসএআইসি মোটর কর্পোরেশন ব্যবসা শুরু করেছে তাদের ব্রিটিশ ব্রান্ড এমজি মোটরের নামে। তারা ইতিমধ্যে ৪০ কোটি ডলার লগ্নি করেছে ভারতে। তারা সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে কোনও মন্তব্য না করলেও ছাড়পত্র চেয়েছে আরও ২৫ কোটি ডলার লগ্নির জন্য।

Related Articles