করোনার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত গোটাদেশ। ধাক্কা খেয়েছে দেশের অর্থনীতি, বাড়ছে বেকারত্ব। আর এই পরিস্থিতিতে আরও খারাপ খবর পেতে পারে চাকুরিজীবীরা। কমতে পারে প্রভিডেন্ট ফান্ডের (পিএফের) সুদের হার। করোনা জেরে লকডাউন করা হয় দেশজুড়ে। যার ফলে EPFO তে আয়ের ঘাটতি ঘটেছে। এই কারনেই চলতি অর্থবর্ষের প্রথমেই সুদের হার নিয়ে যা ঘোষণা হয়েছিল, তার থেকে কম হারে সুদ পেতে পারে আমানত কারীরা। বছরের শুরুতেই সরকার জানিয়েছিল, যে চলতি অর্থবর্ষের প্রথম থেকেই ৮.৫ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হবে পিএফের আমানতকারীদের। কিন্তু সেই সুদের হার এবার কমতে চলেছে। সূত্রের খবর, এই সুদের হার ৮.৫ থেকে কমে ৮.১ হতে পারে। প্রত্যেকটি অর্থবর্ষের শুরুতে সুদের হার নির্ভর করে, আমানতকারীদের জমা দেওয়া টাকা নিরিখে। কিন্তু এ বছরের শুরুতেই দেশজুড়ে করোনা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। যার জেরে লকডাউন হয়েছেড, বেতনে কাটছাঁট হয়েছে, চাকরি গিয়েছে অনেকের, এছাড়াও বেশকিছু কারনে পিএফের আমানতকারীরা কম পরিমাণ অর্থ জমা দিয়েছে।
এদিকে, EPFO তে ভারতের সবচেয়ে বেশি লগ্নি থাকে। প্রসঙ্গত, লকডাউনের শুরুর আগে প্রতি মাসে ৮০০০ থেকে ৯০০০ কোটি টাকা লগ্নি করা হতো, কিন্তু বর্তমানে সেই চিত্রটা একদম পাল্টে গিয়েছে। এই মুহূর্তে মাত্র ৫০০০ কোটি টাকারও কম লগ্নি হয়েছে। যার কোপ আমানতকারীদের সুদের হারে পড়বে। এদিকে করোনার আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে ভারতের বড় বড় সংস্থাগুলো। যার কারনে কর্মী ছাঁটাই থেকে বেতন কমানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে দেশের অর্থনীতিও তলানিতে এসে ঠেকছে।