সুইনবার্ন এবং আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা সফলভাবে বিশ্বের দ্রুততম গতির ইন্টারনেট ডাটা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। এই ইন্টারনেটের গতি এতটাই বেশি যে ১ হাজার HD মুভি এক সেকেন্ডেরও কম সময়ে ডাউনলোড করা যাবে। এই ইন্টারনেটের গতি আমরা যে সাধারণ ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকি তার চেয়ে হাজার গুন বেশি। বিজ্ঞান জার্নাল ‘নেচার কমিউনিকেশনস’-এ প্রকাশিত সমীক্ষা অনুযায়ী দেখা গিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিল ককোরান, আরএমআইটি’র প্রফেসর অর্নন মিচেল এবং সুইনবার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ডেভিড মস আলোর উৎসের সাহায্যে প্রতি সেকেন্ডে ৪৪.২ টেরাবাইট গতি রেকর্ড করেছেন। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে মেলবোর্ন শহরে ১.৮ মিলিয়ন পরিবারের কাছে হাই স্পিড ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া সম্ভব৷
এর পাশাপাশি এটি বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তেও দ্রুত গতির ইন্টারনেট সংযোগ দিতে সক্ষম। এই আবিষ্কার টেলিযোগাযোগের ক্ষমতা দ্রুত বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। এই গবেষণা নিয়ে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ফাইবার অপটিক প্রযুক্তিতে একটি নতুন ডিভাইস প্রয়োগ করে এই গতি অর্জন আনা গিয়েছিল। গবেষণার পরিপ্রেক্ষিতে গবেষক আর্নন মিশেল বলেন, এটি প্রাথমিক পর্যায়ে ডেটা সেন্টারগুলির মধ্যে অতি উচ্চ গতির যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা সম্ভব। হাই স্পিড ইন্টারনেট তৈরীর গবেষণাটি হয়েছে আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেলবোর্ন সিটি ক্যাম্পাস এবং মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লেটন ক্যাম্পাসের মধ্যে ৭৬.৬ কিমি অপটিকাল ফাইবারের মাধ্যমে। পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে এই ডিভাইসটি ৮০ টি লেজারকে একসঙ্গে মিলিয়ে কাজ করে।
এই পরীক্ষাটি ছিল প্রথম ধাপের, যা সফলতা অর্জন করেছে। বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী আমাদের ইন্টারনেট পরিষেবা দ্রুত পাওয়াটা প্রয়োজন। ভবিষ্যতে এর প্রয়োজনীয়তা থাকবে প্রচুর। আগামী দিনে প্রতিটি ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়বে। মেডিকেল হোক বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সব জায়গায় ইন্টারনেট ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে। সেই সব দিন গুলোতে ইন্টারনেটের উপর নির্ভর করে থাকবে মানুষের অনেক জানা-অজানা। এই প্রথম ইন্টারনেট গতি বাড়াতে একক অপটিকাল চিপের মাধ্যমে পরীক্ষাটি করা হলো। পরীক্ষার প্রথম ধাপ সফল হওয়াতে গবেষকরা আশার আলো দেখছে।