অপুষ্টি ও অনাহার কেড়ে নিয়েছে ছোটবেলা, সাত বছরের এই বাচ্চার ওজন মাত্র সাত কেজি
যুদ্ধবিধ্বস্ত অবস্থায় ছয় বছর ধরে ইয়েমেনের খাদ্য সঙ্কট কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে তা আন্দাজ করা যায় এই বাচ্চাটির ছবি দেখলেই। সাত বছর বয়সী বাচ্চাটিকে ইয়েমেনের সানায় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মাত্র সাত কেজি ওজন সাত বছরের বাচ্চার। পক্ষাঘাতগ্রস্ত ফায়িদ সামিম নামের সেই বাচ্চাটির শৈশব নষ্ট হয়েছে অপুষ্টি, অনাহারে।
শুধু তাই নয়, বাচ্চাটি ভুগছে সেরিব্রাল পালসি ও অপুষ্টিতে।
প্রায় মরণাপন্ন অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়। তবে ফায়িদ এখন বিপন্মুক্ত চিকিৎসকদের প্রচেষ্টায়। ফায়িদের গোটা শরীর ঢেকে যায় হাসপাতালের বেডে ভাঁজ করে রাখা কম্বলের এক তৃতীয়াংশ দিয়েই। এই স্বার্থকেন্দ্রিক, লোভ, হানাহানিতে ভরা পৃথিবীর আসল প্রতিবিম্বই যেন ফায়িদের জীর্ণ শরীর।
ফায়িদের পরিবারের সামর্থ্য নেই চিকিৎসা ও ওষুধের খরচ বহন করার। আপাতত অনুদানের অর্থে চলছে তার চিকিৎসা। তবে আসল কথা হলো, এখন শুধুমাত্র ত্রাণের উপর নির্ভরশীল যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনের ৮০ শতাংশ জনসাধারণ। চারিদিকে অনাহার সত্ত্বেও সেখানে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতির ঘোষণা হচ্ছে না। এখনও পর্যন্ত এক লাখের বেশি সাধারণ মানুষ মারা গিয়েছেন ছয় বছর ধরে চলা যুদ্ধে। সাথে খাদ্য সঙ্কটও চরমে।