এতোদিন লকডাউনের পরিস্থিতির মধ্যে পরোক্ষভাবে পরিবেশের উন্নতি সাধন হয়েছে যার চিত্র ধরা পড়েছে বারেবারে যেমন গঙ্গার জল অনেক স্বচ্ছ, জলের নিচে পরিষ্কারভাবে মাছ দেখা, যান চলাচল বন্ধ থাকায় গোটা দেশের দূষণ কমেছে, আকাশ তুলনামূলক বেশী নীল।
এই দূষণ কমার ফলে এমন ঘটনা ঘটল যা বাংলার ইতিহাসে আগে ঘটেনি। বাংলায় সাধারণত পরিযায়ী পাখিদের আনাগোনা শুরু হয় জুলাই মাস থেকে, বর্ষার প্রথম বৃষ্টিতে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে বাংলার বিভিন্ন পাখিরালয় আসে কয়েক হাজার পাখি। কিন্তু এই বছর তারা জুনের গোড়ার দিক থেকেই পৌঁছাতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের কুলিক রাজগঞ্জ অভয়ারণ্য পরিযায়ী পাখিতে পূর্ণ। বিশেষজ্ঞদের মতে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে লকডাউন বায়ুদূষণ হ্রাস, অপেক্ষাকৃত কম গরম মাঝেমধ্যে বৃষ্টিপাত এইসবের কারণে এই বছর সময়ের আগে পাখি আসতে শুরু করেছে।
প্রতিবছর রায়গঞ্জের কুলিক পাখিরালয় নাইট হেরণ, এগারেট, স্টর্ক এর মত পরিযায়ী পাখি আসে। তথ্য অনুযায়ী গত বছর 93 হাজারেরও বেশি পাখি এসেছিল। রায়গঞ্জের বিভাগীয় ফরেস্ট অফিসার সোমনাথ সরকার বলেই এবার পাখিরা প্রায় তিন সপ্তাহ আগে এসে পৌঁছেছে, বর্তমানে এ পর্যন্ত কত পাখি এসেছে তার এখনো রেকর্ড নেই। তবে দুঃখের খবর এটাই পাখিরালয় লকডাউনের কারণে এখনই জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কুলিক জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে।