মানুষের অত্যাচারের কবলে পড়ে প্রাণীকুল বারবার বিপর্যস্ত হয়। শিকারিদের পাল্লায় পড়ে দিনদিন বিলুপ্ত হচ্ছে নানা রকম প্রজাতির প্রাণী। অথচ পৃথিবীতে সকলের সমান অধিকার আছে। কিন্তু মানুষ একছত্র অধিকার ফলাচ্ছে। সম্প্রতি এক গর্ভবতী হাতির হত্যা নিয়ে তোলপাড় হয়েছে মিডিয়া। ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল হাতিটি, খাবারের সন্ধানে জঙ্গল থেকে এসেছিল লোকালয়ে, তাকে আনারসের মধ্যে বিস্ফোরক ভরে খাইয়ে দেওয়া হয়েছিল।
সেই খবরের রেশ কাটতে না কাটতেই আরো নৃশংসতার খবর এসেছিল। একটি গরুকে একইভাবে বিস্ফোরক ভর্তি খাবার খাইয়ে দিয়েছিলো কিছু অমানুষ, বিস্ফোরণের তীব্রতায় নিরীহ গরুটির চোয়াল উড়ে গিয়েছিল। আর এবার সেই তালিকায় যোগ হলো একটি শেয়াল। ঘটনাটি তামিলনাড়ুর তিরুচি জিয়াপুরমের ঘটনা। বনদপ্তর এর কর্মীরা শেয়ালটির ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করেন। বিস্ফোরণের ফলে শিয়ালটির মুখ উড়ে গেছে।
বনদপ্তর এর একজন অফিসার জানিয়েছেন স্থানীয় কিছু মানুষ বিস্ফোরকভর্তি মাংস খাইয়ে শিয়ালটিকে হত্যা করেছে। পুলিশ এবং বনদপ্তর যৌথ অভিযানে এই নৃশংস ঘটনার সাথে জড়িত 12 জনকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তরা স্থানীয় গ্রামেরই বাসিন্দা তারা জঙ্গলে মধু সংগ্রহ করে।
তথ্যসূত্র খবর শিয়ালের মাংস খাবার জন্য এমন জঘন্য কাজ তারা করেছে। জঙ্গল থেকে গ্রামে ফেরার পথে তারা একটি শেয়ালকে রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে দেখেন এরপরই শিকারের জন্য বিস্ফোরক ভর্তি মাংসের টুকরো রেখা দেওয়া হয়। আর তা খেয়ে বিস্ফোরণের ফলে যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে মৃত্যু হয় শিয়ালটির।
ওই 12 জন শিয়ালটির মৃতদেহ বস্তায় পুরে স্থানীয় এক চায়ের দোকানে পিছনে রেখে দেয়। তাদের গতিবিধি দেখে সেখানে এক কনস্টেবলের সন্দেহ হয় । এরপর তিনি থানায় খবর দেন এবং জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয় তার পরই বেরিয়ে আসে সত্যিটা। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি হবে।