লকডাউনের সময় থেকেই রাজ্যের গরীব মানুষগুলোর খাবারের ব্যবস্থা করেছিল বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলি। তবে শুধু সামাজিক সংগঠন নয়, রাজনৈতিক সংগঠনগুলিও সাহায্যের হাত বেরিয়ে দিয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গাতে সিপিএমের শ্রমজীবী ক্যান্টিন খাবারের ব্যবস্থা করেছিল। আর সিপিএমের দেখানো পথেই এবার হাঁটল রাজ্যের শাসকদল। ইতিমধ্যেই হাওড়ায় সস্তার ক্যান্টিন চালু করা হয়ে গেছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে- ‘মমতার মমতা’।
আর এবার হাওড়ার পরে বারাকপুরে এক স্পোর্টিং ক্লাব ও তৃণমূলের যৌথ উদ্যোগে চালু হচ্ছে স্বল্পমূল্যে একবেলা পেটভরে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যার নাম ‘দিদির রান্নাঘর’। আগামী একমাস এখানে মাত্র ৫ টাকাতেই দুপুরের খাবার মিলবে। বারাকপুরে তৈরি ‘দিদির রান্নাঘর’ পদ্ধতিটি একটু আলাদা। ১ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর অর্থাৎ গোটা পুজোর মাসটিতেই এলাকার স্থানীয় দরিদ্র মানুষজনের জন্য চালু করা হচ্ছে এই কমিউনিটি কিচেন।
বারাকপুরের বিএন বসু মহকুমা হাসপাতালের ঠিক উলটোদিকেই রয়েছে ‘দিদির রান্নাঘর’। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, বেলা ১১ টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত খোলা, সকলের প্রবেশ অবাধ। এখানে মাত্র ৫ টাকাতেই মিলবে ভরপেট দুপুরের খাবার। বারাকপুর ও টিটাগড় এই দুই ক্লাব সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে চালু হওয়া ‘দিদির রান্নাঘর’এ শামিল দুই পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের মুখ্য প্রশাসকরাও। এছাড়া এই এলাকার অতি পরিচিত সমাজসেবী লালন পাসোয়ান এই উদ্যোগে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন।