আত্মপ্রত্যয়ের সঙ্গে রাজ্য বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ফের তিনিই ফিরে আসবেন। সোমবার এই বিধানসভারও মেয়াদ শেষ হল বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শেষ হওয়ার সাথে সাথে। নতুন আইনসভা গঠিত হবে বিধানসভা নির্বাচনের পর। সেখানে কেউ কেউ থাকবেন বর্তমান সদস্যদের। আবার কেউ থাকবেন না। আসতে পারেন নতুন সদস্যও। বিধিবদ্ধ ঔপচারিকতা শেষ অধিবেশনের শেষদিনের আনুষ্ঠানিক ফটোসেশন। মমতা সেই সমবেত ছবি তোলার পর বলেছেন, ‘‘আই উইল বি ব্যাক।’’
এমনিতে ফটোসেশন হয় শাসক-বিরোধী মিলেই। তবে সোমবার বাম এবং কংগ্রেসের কোনও বিধায়ক ছিলেন না ওই সময়ে। তবে বিজেপি বিধায়করা হাজির ছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দু’আঙুল তুলে ‘ভিকট্রি’ চিহ্ন দেখান ফটোসেশন সেরে যাওয়ার সময়। তারপর স্পিকারের ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী ছবিও তোলেন বিধানসভার কর্মচারীদের সঙ্গে। তখনও একই কথা তাঁর গলায়, ‘‘আই উইল বি ব্যাক।’’ ‘‘আপনাকে খুব আত্মপ্রত্যয়ী লাগছে’’, মমতাকে বলেন কর্মচারীদের মধ্যে একজন। মুখ্যমন্ত্রীর সোজা উত্তর, ‘‘আমি চিরকালই খুব আত্মপ্রত্যয়ী।’’ অর্থাৎ, তৃণমূল যে ফের ক্ষমতায় আসবে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এবং তৃতীয়বারের জন্য তিনিই যে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তা নিয়ে নিশ্চিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান মুখ্যমন্ত্রীর ফটোসেশন বয়কট করা প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘যারা আমাদের পাঁচ বছরে ন্যূনতম গণতন্ত্র দেয়নি, গণতন্ত্রে বিরোধীদের যে মর্যাদা রয়েছে তা দেয়নি, ন্যূনতম প্রশাসনিক বৈঠকে ডাকারও প্রয়োজন বোধ করেনি, এখন কতটা গণতান্ত্রিক তারা, সেটা দেখানোর জন্য যে ফটোসেশন, সেখানে যাব না আমরা।’’ বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্যেও শোনা যায় একই কথা। তিনি বলেন, ‘‘এক ফ্রেমে যেতে আমরা নারাজ এই অগণতান্ত্রিক সরকারের সঙ্গে।’’
তবে ওই ধরণের কোনো সিদ্ধান্ত নেননি বিজেপি বিধায়করা। বিজেপি-র পরিষদীয় দলনেতা মনোজ টিগ্গার বক্তব্য, ‘‘পাঁচ বছর আমরা কাজ করেছি একে অপরের সঙ্গে। এটা স্মৃতি হয়ে থাকবে একপ্রকার। আমরা ফটোসেশনে গিয়েছি সেই স্মৃতিটাকে সম্মান দিয়েই। এখানে কোনও রাজনীতি দেখা অনুচিত হবে।’’