করোনা ভাইরাস এর সংক্রমণ এর কারণে নাজেহাল অবস্থা দেশের মানুষের। যেভাবে প্রতিদিন হাজারে হাজারে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন তাতে সকলেই খুব উদ্বিগ্ন। কিন্তু লকডাউন চলাকালীন মানুষের মধ্যে যে ভীতি ছিল তার অধিকাংশই কমে গিয়েছে। আনলক -১ এবং আনলক -২ তে মানুষের মধ্যে দেখা যাচ্ছে গা ছাড়া মনোভাব। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রক বারবার মাস্ক পরার প্রয়োজনীয়তা বোঝালেও মাস্ক ছাড়াই রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছে বহু মানুষ। আর মাস্ক থাকলেও রয়েছে কারো পকেটে নয়তোবা থুতনিতে ঝোলানো। কিন্তু করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে সকলের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উত্তরাখণ্ড, দিল্লি ও রাজস্থানও মাস্ক না পরলে জরিমানার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমনকি মাস্ক না পরলে জেলও হতে পারে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
এই পরিস্থিতিতে মধ্য প্রদেশের গোয়ালিয়র জেলার কালেক্টর কৌশলেন্দ্র বিক্রম সিং ‘কিল করোনা’ প্রকল্পকে সফল করার লক্ষ্যে আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি নিধান দিয়েছেন। এই নিয়মে বলা হয়েছে যে,মাস্ক না পরলে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে হবে কোভিড হাসপাতালে। এমনকি ৩ দিনের জন্য কাজও করতে হতে পারে পুলিস চেকপোস্টে।
এই “কিল করোনা” প্রকল্পে ১১ হাজারের বেশি জনের একটি দল কাজ করবে। এদের কাছে থাকবে থাকবে থার্মাল স্ক্যানার, পাল্স অক্সিমিটার। এই প্রকল্পে স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে করোনাতে আক্রান্তদের চিহ্নিত করে আইসোলেট করবে বলে জানা গেছে।