দেশনিউজ

ইমরান খান জোকার! পাকিস্তানকে তুলধনা করলেন গৌতম গম্ভীর

Advertisement
Advertisement

ভারত-পাকিস্তানের শত্রুতা কারোর অজানা নয়। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে অনেকেই ভারতের বিরুদ্ধে একাধিক মন্তব্য করেছে। তাদের মধ্যে পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদি অন্যতম। কিন্তু নতুন করে আফ্রিদির মন্তব্যে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে দেশবাসী। নিজের মাত্রা ছাড়িয়েছে আফ্রিদি। সম্প্রতি আফ্রিদি তাঁর একটি মন্তব্যে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ‘করোনার থেকেও খারাপ’ বলে কটাক্ষ করেছেন। এমন তো ফাটাফাটি সহ্য করতে না পেরে তার যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতীয় দলের প্রাক্তন তারকা তথা বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীর।

গৌতম গম্ভীর আফ্রিদির মন্তব্যের পাল্টা জবাবে আফ্রিদি, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল বাজোয়াকে ‘জোকার’ বলে কটাক্ষ করেছেন। সম্প্রতি কাশ্মীরে করোনার জন্য ত্রাণ বিলি করতে যায় আফ্রিদি। সেই সময় একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড হয়েছে আর সেখানেই আফ্রিদিকে বলতে শোনা যায়, ‘ভারতের দখলে থাকা কাশ্মীরের বেশিরভাগ নাগরিক পাকিস্তানের পক্ষে। ভারত জোর করে কাশ্মীর দখল করে রেখেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ধর্মের নামে রাজনীতি করে বেড়াচ্ছেন। মোদির মস্তিষ্ক করোনার থেকেও ভয়ংকর।’ প্রাক্তন পাক্ অধিনায়কের এই কুরুচিকর মন্তব্যে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা সাংসদ গৌতম গম্ভীর।

গৌতম গাম্ভীর টুইটে লেখেন, ” পাকিস্তান অধীনস্থ ৭ লক্ষ সেনাকর্মী ও ২০ কোটি মানুষ আছে। অথচ ৭০ বছর ধরে ওরা ক্রমাগত কাশ্মীরের জন্য ভিক্ষা চেয়ে চলেছে। আফ্রিদি, ইমরান খান, বাজোয়ার মতো লোক পাকিস্তানের মানুষকে বোকা বানাতে ভারত এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নামে যা খুশি ছড়াতে পারে কিন্তু তা বলে ওরা কাশ্মীর পেয়ে যাবে তা ভাবাটা বোকামি।” তবে শুধু গৌতম গাম্ভীর নয়, ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার হরভজন সিংও এই মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। হরভজন সিং আফ্রিদির মন্তব্যের বিরুদ্ধে বলেন, ‘আফ্রিদি যে মন্তব্য করেছে সেটা খুবই দুঃখজনক। আমাদের দেশ এবং প্রধানমন্ত্রীর নামে বাজে কথা বলাটা তার উচিত হয়নি। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ও আমাদের অনুরোধ করেছিল ওর সংস্থার হয়ে সাহায্য করতে,‌ সেজন্য আমরা ওকে সাহায্য করেছে। কিন্তু এরপর আমাদের সঙ্গে ওর আর কোনো সম্পর্ক নেই। আফ্রিদির উচিত নিজের দেশ ও সীমার মধ্যে স্থগিত থাকা।’

Web Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles