আগামী ১০ জুন থেকে ভারতে শুরু হতে চলেছে বিরাট অভিযান। শুরু হতে চলেছে চীনা পন্য প্রত্যাহার। বহুদিন থেকেই চীনের কার্যকলাপ দেখে ভারতবাসীর একাংশ চীন এর পণ্য প্রত্যাহারের কথা বলেছে। কিন্তু ভারতবাসী যেভাবে চীনের দ্রব্যের সাথে জড়িয়ে গেছে তাই তারা এই কথা মেনে নিতে পারেনি।
ভারতকে কেন্দ্র করে চীনের বিরাট এক ব্যাবসা চলে। এককথায় বলা চলে ভারত চীনের ব্যাবসার প্রধান কেন্দ্র। চীনের মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে ছোট খাটো জিনিস ভারতের বাজার ছেয়ে রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে চীন থেকে করোনা ভাইরাস নামক যে মারণ ভাইরাস এর সংক্রমণ ভারতকে আজ নাজেহাল করে দিচ্ছে এছাড়া সীমান্তে চীনের সেনার অবাঞ্ছিত প্রবেশ চীনের প্রতি ভারতবাসীর ক্ষোভ অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই এখন ভারতবাসীর একাংশ না অধিকাংশ মানুষ এর স্লোগান ‘চীনা পণ্য হাঁটাও দেশ বাঁচাও’।
ভারত সীমান্তে চীনের সেনার অবাঞ্ছিত প্রবেশ করে ভারতের সাথে যে ঝামেলা করতে চাইছে তার পাল্টা হিসেবে ভারত যুদ্ধ নয় বুদ্ধি দিয়ে মোকাবিলা করতে চাইছে। চীনা পণ্য বয়কট করে চীনের ব্যাবসার একটা বিরাট ক্ষতি করতে চাইছে। ফলে চীনের অর্থনীতিতে একটা বিরাট ধাক্কা লাগতে চলেছে অর্থাৎ একটি গাছকে মারার জন্য গাছের ওপরের অংশ নেয় কেটে গোড়া থেকে উপড়ে ফেলা তাই শ্রেয়।
আগামী ১০ ই জুন নিতে চলেছে এক বিরাট পদক্ষেপ নিতে চলেছে কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স। CITA জারী করেছে এক নির্দেশিকা। যে নির্দেশিকায় পরিষ্কার বলা আছে, ভারতকে ২০২১ সালের মধ্যে চীন থেকে আমদানী বন্ধ করতে হবে প্রায় ১.৫ কোটি টাকার পণ্য। বাতিলের খাতায় রয়েছে প্রায় ৩০০০ চাইনিজ প্রোডাক্ট। CITA জানিয়েছে, ‘বাতিল করা পণ্য গুলি বর্তমানে ভারতে সব তৈরি হচ্ছে, তাই চিন্তার কোনো কারণ নেই। কিন্তু চীনা পণ্য ব্যাবহার একেবারে মানুষের বন্ধ করতে অসুবিধা হবে যেহেতু তারা এতদিন সেগুলো ব্যাবহার করে আসছে কিন্তু ধীরে ধীরে সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে’।