করোনা কাঁটায় কাবু দেশ তথা বিশ্ব। চলতি বছর করোনা আতঙ্কে সব কিছুতেই পড়েছে ভাঁটা। কিন্তু এরই মাঝে আজ ১৫ আগস্ট। প্রতিবছরের ন্যায় এই বছরও গোটা দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে স্বাধীনতা দিবস। আর স্বাধীনতা দিবসের ৭৪ তম বর্ষে এক অভিনব উদ্যোগ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। বর্তমান পরিস্থিতি কথা মাথায় রেখে এদিন লালকেল্লা থেকে ‘এক দেশ এক রেশন কার্ড’-র মতই এবার ‘এক দেশ এক হেলথ কার্ড’-র ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী।
দেশজুড়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। যত সময় বাড়ছে ততোই আতঙ্ক বাড়াচ্ছে অদৃশ্য ভাইরাস করোনা। চোখে দেখা না গেলেও অদৃশ্য ভাইরাস আতঙ্কে কোণঠাসা দেশবাসী। আর এই পরিস্থিতিতে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে উন্নত করতে হবে সেই সংকল্প নিয়ে সামনের দিকে এগোচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। তাই এদিন ডিজিটাল স্বাস্থ্য মিশন-র পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন তিনি। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশবাসীকে বড় উপহার প্রধানমন্ত্রীর।
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানান, এই ডিজিটাল স্বাস্থ্য মিশন আওতায় এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রত্যেক নাগরিককে একটি করে হেলথ কার্ড তৈরি করতে হবে এই প্রকল্পে। পাশাপাশি আধার কার্ডের মতই প্রত্যেক নাগরিকের জন্য হেলথ আইডি কার্ড তৈরি করা হবে। এই প্রকল্পে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য একটি প্লাটফর্মে সংরক্ষিত থাকবে প্রত্যেক নাগরিকের। ভবিষ্যতে সমস্ত রকমের টেস্টএবং চিকিৎসা করালে তার যাবতীয় তথ্য সংশ্লিষ্ট কার্ডের নম্বরে সংরক্ষিত থাকবে৷ এই তথ্য ভাণ্ডারে চিকিৎসকদের তালিকা সহ দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য থাকবে।
এদিন জাতির উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যেক নাগরিকের একটি করে সিঙ্গেল ইউনিক আইডি তৈরি করা হবে এ প্রকল্পের জন্য। এই আইডি দিয়ে লগ ইন করতে হবে। নাগরিকদের মেডিক্যাল ডেটা রাখার জন্য হাসপাতাল, ক্লিনিক, চিকিৎসকদের একটি সার্ভারের সঙ্গে যুক্তকরা হবে৷ তবে বাধ্যতামূলক নয়এই প্রকল্পে যুক্ত হওয়া। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিংবা নাগরিকরা চাইলে তবেই এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে তারা’। অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে বিশ্লেষকদের মত, এই ধরনের পরিকল্পনার জেরে প্রত্যেকটি মানুষের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য একটি জায়গাতে এর জেরে জমা থাকবে। করোনা আবহে হেলথ কার্ড সংক্রান্ত ঘোষণা বড় পদক্ষেপ। এই পরিকল্পনার জেরে দ্রুত চিকিৎসা পরিষেবা প্রধান করা আরও সহজ হবে।