বিনোদন

বাগদান সেরে প্রকাশ্য মঞ্চে তুমুল নাচ নীল-তৃণার, ঝড়ের গতিতে ভাইরাল ভিডিও

Advertisement
Advertisement

টলিপাড়ায় লেগেছে বিয়ের হাওয়া। একের পর এক সেলেব জুটি পড়ছেন সাত পাকে বাঁধা। তারই মাঝে টলিউড সরগরম শ্যামার বরের সঙ্গে সৌজন্যের বউয়ের বিয়ে নিয়ে। অর্থাৎ রিল নয় এবার রিয়েল লাইফে চার হাত এক হচ্ছে নীল-তৃণার। এরই মাঝে ফিল্মি কায়দায় এনগেজমেন্ট সারলেন নীল তৃণা।

বারো বছরের প্রেম অবশেষে পেতে চলেছে নাম। আগামী ৪ঠা ফেব্রুয়ারি সাতপাকে বাঁধা পড়ছেন নীল তৃণা। শহরের এক নামী ক্লাবে বসবে এই জুটির বিয়ের আসর। এরপর টলিউডের বন্ধুদের জন্য শানদার রিসেপশনের ব্যবস্থা থাকছে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র দিন। বিয়েতে একদম সাবেকি বাঙালি বধূর সাজেই সাজবেন তৃণা এমনটাই শোনা যাচ্ছে কানাঘুষো। এরই মাঝে ড্রোনের মাধ্যমে আংটি উড়ে আসলো নীল তৃণার।

নিশ্চয়ই অবাক হচ্ছেন কিভাবে ড্রোনের মাধ্যমে আংটি আসতে পারে? অবাক হলেও এটাই সত্যি। বিয়ের ঠিক ২৫ দিন আগেই রূপকথার এনগেজমেন্ট পর্ব সারলেন নীল তৃণা। আর সেলেব জুটির এনগেজমেন্ট রিং উড়ে এল ড্রোনে। ঠিক রূপকথার গল্পের মতোই একে অপরের হাতে সেই আংটি পরিয়ে তৃণার কোমর ধরে রোমান্টিক নাচে মাতলেন নীল। নীল তৃণার এনগেজমেন্ট পার্টির সাজেও ছিল চমক। বাগদানের দিন হালকা গোলাপি রঙের শাড়িতেই তৃণা আর অভিনেত্রীর সঙ্গে ম্যাচ করে বেইজ রঙের শুটের সেজেছিলেন নীল। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল-মিডিয়ায় ভাইরাল নীল তৃণার এনগেজমেন্টের ভিডিও। নীল তৃণার এনগেজমেন্ট-র আসরে উপস্থিত হয়েছিলেন টলিপাড়ার লাভবার্ডস রণজয়-সোহিনীও।

নীল তৃণার প্রেমের গল্পটাও নেহাত কম ইন্টারেস্টিং নয়। প্রায় এক দশকের বেশি সময় ধরে প্রেম করছেন নীল ও তৃণা। ২০১১ সালে MBA পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় CAT ক্লাসে তাঁদের দেখা হয়েছিল। এরপর ২০১১ সালেই প্রথম ডেটে গিয়েছিলেন দু’জনে। সেখানেই রয়েছে প্রথম চুম্বনের স্মৃতি। কিন্তু এরপর তারপর পড়াশোনার জন্য দিল্লি চলে যান তৃণা। নীল রয়ে যান কলকাতায়। পরে ২০১৫ সালে তৃণার ফেরার পর আবার বন্ধুত্ব শুরু হয়। ২০১৬ সালের ৮ জুন তৃণা বুঝতে পারেন নীল তাঁর কাছে বন্ধুর চেয়েও বেশি। তখনই প্রপোজ করেন। এরপর ২০১৭ সালের ২১ জুন বন্ধুদের সামনে তৃণাকে প্রপোজ করেন নীল। তারপর থাইল্যান্ডে একসঙ্গে সময়ও কাটিয়েছেন দু’জনে। আর এখন সেই প্রেম গড়াতে চলেছে বিয়ের মন্ডপ পর্যন্ত।

Web Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles