মাদক চক্রে জড়িত থাকার কারণে জেলেই রাত কাটছে সুশান্ত বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার জামিন পাওয়ার আশা থাকলেও জামিন পাননি রিয়া। আর এবার রিয়ার গ্রেফতারিতে রং লাগল রাজনীতির। অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীকে সমর্থন করতে এগিয়ে এলেন কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ৮১ দিন পর মঙ্গলবার গ্রেফতার হন রিয়া। NDPS আইনের ৬৭ নম্বর ধারায় রিয়া চক্রবর্তী তাঁর দোষ কবুল করেছেন বলে সূত্রের খবর।১৪ দিনের জেল হেফাজত হয় অভিনেত্রীর। বাইকুলা জেলে রাখা হয় তাঁকে। সেখানে মাটিতে চাটাই পেতে রাত কাটাচ্ছেন রিয়া।
এরই মাঝে টুইট করে কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী ট্যুইট করে লেখেন, ‘বিদায় নেওয়া তারকা সুশান্ত সিং রাজপুত একজন ভারতীয় অভিনেতা ছিলেন। বিজেপি শুধু ভোটে ফায়দা তোলার জন্য তাঁকে একজন বিহারি অভিনেতায় পরিণত করেছে। রিয়ার বাবা একজন প্রাক্তন সেনা অফিসার। তিনি দেশের সেবা করেছেন। রিয়া একজন বাঙালি ব্রাহ্মণ মহিলা।
অভিনেতা সুশান্ত রাজপুতের জন্য ন্যায়বিচারকে বিহারির প্রতি ন্যায়বিচার হিসেবে দেখা উচিত নয়। রিয়ার বাবারও তাঁর সন্তানদের জন্য ন্যায়বিচারের দাবি করার অধিকার আছে। সংবাদমাধ্যমে বিচার আমাদের বিচারবিভাগের পক্ষে অশুভ। সবার জন্য ন্যায়বিচতার আমাদের সংবিধানের মৌলিক ভিত্তি। তিনি আরও লেখেন, ‘রিয়া চক্রবর্তীকে কিন্তু সুশান্তের মৃত্যুতে প্ররোচনা দেওয়ার জন্য গ্রেফতার করা হয়নি। তাঁকে মাদক যোগের অভিযোগে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো হেফাজতে নিয়েছে। কেবল দেশবাসীর নজর ঘোরাতেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এই কাজ করছে। দেশের অর্থনৈতিক সংকট এবং করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতেই সুশান্ত মামলাকে তুলে ধরা হচ্ছে’।
উল্লেখ্য এক হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকেই নিষিদ্ধ মাদক পাচার চক্রের হদিশ পায় ইডি। সেই সমস্ত চ্যাটে মারিজুয়ানা, এমডিএমএ, সিবিডি ওয়ালের মতো বিভিন্ন নিষিদ্ধ মাদকের নাম উল্লেখ ছিল। আর সেই চ্যাট গুলি বিনিময় হয়েছিল রিয়া চক্রবর্তী, সুশান্তের হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা, জয়া সাহা, ও গোয়ার হোটেল ব্যবসায়ী গৌরব আচার্যর মধ্যে। সেই অনুযায়ী গত শুক্রবার জিজ্ঞাসাবাদের পর মাদক সেবন ও পাচারের অভিযোগে সৌভিককে গ্রেফতার করে এনসিবি।এরপর সুশান্ত সিং রাজপুতের হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডাকে আটক করে ইডি। আর মঙ্গলবার রিয়াকেও গ্রেফতার করে ইডি।