মৌমিতা সাহা: আজ পুরো এক মাস চার দিন হয়ে গেল, অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত আমাদের মধ্যে আর নেই। কিন্তু এতদিন পরেও আমাদের এই দুঃসংবাদটি মানতে মন চাইছে না। এখনো প্রতিনিয়ত প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত এর উদ্দেশ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠেছে বিভিন্ন রকমের প্রশ্ন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সুশান্ত ভক্তরা প্রতিনিয়ত সিবিআই তদন্তের জন্য দাবি তুলছেন। যদিও ইতিমধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সি বি আই দফতরে চিঠি পাঠিয়েছেন সুশান্ত সিং রাজপুত এর মৃত্যুরহস্য খতিয়ে দেখার জন্য।
তবে তবে এরই মাঝে চলছে মুম্বাই পুলিশের তদন্ত। আর সেই তদন্ত অনুযায়ী মুম্বাই পুলিশের জেরার মুখে পড়লেন প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের সাইক্রাটিস্ট অর্থাৎ মনোবিদেরা। এমনই এক অভিনেতার সাইক্রাটিস্ট করসি চাবড়া-কে জেরা করে জানা গিয়েছে, অভিনেতা সুশান্ত মৃত্যুর প্রায় মাস ছয় আগে থেকেই ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন এবং তিনি তার নিজস্ব ক্লিনিক্যাল ট্রিটমেন্ট করছিলেন। পুলিশ সুত্রে খবর, তিনি সেই সময় একাধিক প্রখ্যাত মনোবিদ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে একজন এই মনোবিদ করসি চাবড়া।
ঐদিন মুম্বাই পুলিশ প্রয়াত অভিনেতার আরোও এক মনোবিদকে জেরা করে। এই মনোবিদের নামটি পুলিশ প্রকাশ্যে আনেনি। আর এই জেরা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের অক্টোবরে মুম্বাইয়ের এক নামি দামি হাসপাতালে ডিপ্রেশনের চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত। এবং গত এক বছরে তিনি প্রায় পাঁচ জন সাইক্রাটিস্ট অর্থাৎ মনোবিদের পরামর্শ নিয়েছেন।
এবং এই মনোবিদ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের বক্তব্য অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরেই ডিপ্রেশনে, ট্রমা, এবং টেনসনে ভুগছিলেন অভিনেতা সুশান্ত। তার রাতে ঘুম হতো না, তার ভেতরে সব সময় কেমন একটা অ্যানসাইটি ডিসঅর্ডার কাজ করতো, এবং ছোটখাটো যেকোনো বিষয় নিয়ে তার মনের মধ্যে সব সময় একটি সন্দেহ কাজ করত। এই মনোবিদ বিশেষজ্ঞদের কাছে কাউন্সিলিংয়ে যাবার সময় তার সাথে থাকতো তার বান্ধবী অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী। তবে এই জেরা থেকে প্রয়াত অভিনেতা সম্পর্কে আরো বহু তথ্য জানতে পেরেছে মুম্বাই পুলিশ। কিন্তু সেই সম্পর্কে এখনো কিছু জানাতে অনিচ্ছুক তারা।
আপাতত এই দিন প্রয়াত অভিনেতার দুই মনোবিদ কে মুম্বাই পুলিশ জেরা করেছেন তবে বাকি আরোও মনোবিদ চিকিৎসকদের বয়ান রেকর্ড করবে বলে জানিয়েছে মুম্বাই পুলিশ। এই সমস্ত চিকিৎসকদের বয়ান রেকর্ড করা হলে তারপর তা যাচাই করবার জন্য কথা বলা হবে অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও।