দেশনিউজ

বাড়িতে বসেই ডাউনলোড করুন ডিজিটাল ভোটার কার্ড, জেনে নিন সম্পূর্ণ পদ্ধতি

Advertisement
Advertisement

ভোটার কার্ড সংক্রান্ত নতুন খবর পাওয়া যাচ্ছে। এবার ডিজিটাল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল ভোটার কার্ডকেও। এবার বাড়িতে বসেই স্রেফ ফোন নম্বর এর মাধ্যমেই ভোটার কার্ডের ই-সংস্করণ ডাউনলোড করা যাবে। সেজন্য কোনও নথি বা সশরীরে হাজিরার ঝক্কিও পোহাতে হবে না সাধারণ মানুষকে। শুধু এটাই নয়, ভোটার কার্ড হারিয়ে গেলে যে পরিমাণ হয়রানির শিকার হতে হয়, সেটাও আর হবে না। এমনই এক নতুন উদ্যোগের সূচনা করল নির্বাচন কমিশন।

উল্লেখ্য, আজ জাতীয় ভোটার দিবস। আর এদিন থেকেই নির্বাচন কমিশন চালু করতে চলেছে E-EPIC পরিষেবা। এই পরিষেবা সংক্রান্ত তথ্য চাওয়ায় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোটার কার্ডের অনলাইন ভার্সন হল E-EPIC। ভোটদান তো বটেই, যে যে ক্ষেত্রে ভোটার কার্ড গ্রহণযোগ্য হয়, সেই সব ক্ষেত্রে এই E-EPIC প্রামাণ্য নথির মতোই কাজ করবে। উল্লেখ্য, E-EPIC’র ডিজিটাল ফরম্যাটের ক্ষেত্রে দু’টি QR কোড থাকবে। একটি কোডে থাকবে ভোটারের নাম ও অন্য তথ্য অন্যটিতে থাকবে তাঁর বুথ নম্বর, পার্ট নম্বর, ভোটার সংখ্যা। যার ভিত্তিতে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন ভোটাররা।

তবে আগের ভোটার কার্ড বাতিল হবে কি না, জানতে চাওয়ায় কমিশন জানাচ্ছে, তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই। একই সঙ্গে দু’রকম পদ্ধতিই চালু থাকবে। অর্থাৎ, ভোটাররা সাধারণ ভোটার কার্ড এবং এই নতুন ডিজিটাল ভোটার কার্ড দুটোই ব্যবহার করতে পারবেন।

প্রসঙ্গত, কমিশন E-EPIC ডাউনলোড করার জন্য দুটি পর্যায় বেছে নিয়েছে। প্রথম পর্যায়ের সময়সীমা ২৫-৩১ জানুয়ারি। নতুন ভোটাররা ওই সময় ভোটার কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন। তবে যে সমস্ত ভোটার নির্বাচন কমিশনের ৬ নম্বর ফর্ম পুরণ করে কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলেন, একমাত্র তাঁরাই শুধুমাত্র বৈধ মোবাইল নম্বর দিয়ে কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে মোবাইল বা কম্পিউটারের মাধ্যমে E-EPIC ডাউনলোড করতে পারবেন। জানা গেছে বাংলার প্রায় ২০ লক্ষ সাড়ে ৪৫ হাজার নতুন ভোটার ডিজিটাল ভোটার কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন এই পর্যায়ে। দ্বিতীয় পর্যায়ের অর্থাৎ ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ডিজিটাল ভোটার কার্ড দেওয়া হবে পুরনো ভোটারদের। তবে, যাদের ভোটার কার্ডের সঙ্গে বৈধ ফোন নম্বর দেওয়া আছে, তাঁরাই শুধুমাত্র E-EPIC ডাউনলোড করতে পারবেন।

Related Articles