নগ্ন হতে রাজি না হওয়ায় বলিউড থেকে বাদ, অবশেষে কঠিন সিদ্ধান্ত সাহসী অভিনেত্রী মল্লিকার
মল্লিকা শেরাওয়াত এই নামটা মানেই উষ্ণ আবেদন। পরিচালক থেকে বহু অভিনেতারাও স্বীকার করেছেন মল্লিকা মানেই উষ্ণতার জোয়ার। যে কোনও সাহসী দৃশ্য ফুটিয়ে তুলতে জুড়ি মেলা ভার মল্লিকা শেরাওয়াতের। কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরেই সেভাবে ফ্রন্টে দেখা যাচ্ছে না মল্লিকাকে, কিন্তু কেনও?
ইন্ডাস্ট্রিতে মল্লিকা শেরাওয়াত এবং বোল্ড এই দু’টি শব্দ কার্যত সমার্থক। প্রথম ছবিতেই চুম্বনদৃশ্যে ঝড় তুলেছিলেন অভিনেত্রী। ইন্ডাস্ট্রিতে মল্লিকার নামের পাশে বসে যায় দুঃসাহসী পরিচয়। তিনি অফার পেতে থাকেন হলিউড থেকেও। সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল।কিন্তু অনেক তো হলো সাহসী দৃশ্য এবার অন্যরকম দৃশ্য অভিনয় প্রয়োজন, এইরকম মনোভাব হতেই মল্লিকার হাতছাড়া হয় একের পর এক ছবি।
অভিনেত্রী নিজের মধ্যে একটা সীমা বেঁধে ফেলেন। সেটা হলো সাহসী দৃশ্যে বা নগ্ন দৃশ্য নয় মল্লিকার ইচ্ছা অন্য ধরনের কিছুতে অভিনয় করার। কিন্তু পরিচালকরা মল্লিকা শেরাওয়াতকে বোল্ড দৃশ্যেই চাইতেন। আর তাতেই হাতছাড়া একের পর এক কাজ। সাহসী বা নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করতে না চাওয়ায় ৩০টা ছবির কাজ হাতছাড়া হয় মল্লিকার। যদিও তাতে দুঃখ নেই অভিনেত্রীর।
বলে রাখি, মডেলিংয় থেকেই কেরিয়ারের শুরু মল্লিকার। বিজ্ঞাপনে অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খানের সঙ্গে অভিনয় করে দ্রুত জনপ্রিয়তার প্রথম সারিতে চলে আসেন মল্লিকা।২০০২ সালে তাঁকে ছোট ভূমিকায় দেখা যায় ‘জিনা সির্ফ মেরে লিয়ে’ ছবিতে। পরের বছর সুযোগ পেলেন বি গ্রেডের ছবি ‘খোয়াইশ’-এ ।’খোয়াইশ’ ছবিতে মল্লিকার নায়ক ছিলেন হিমাংশু মালিক। এই ছবিতে মল্লিকার মোট সতেরোটি চুম্বনদৃশ্য ছিল। এক ফিল্মে এতগুলি চুম্বনদৃশ্যের রেকর্ড অন্য কোনও বলি নায়িকার নেই। এরপর ২০০৪-এ মুক্তি পায় ‘মার্ডার’। মহেশ ভট্টের প্রযোজনায় অনুরাগ বসুর পরিচালনায় এই ছবির সুবাদে জনপ্রিয়তা ও পরিচয় পান মল্লিকা। তারপর মল্লিকা একের পর এক ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। যদিও পরবর্তীকালে অভিনেত্রীর থেকে বেশি আইটেম ডান্সার হিসেবেই দর্শকরা আখ্যা দিতেন মল্লিকা শেরাওয়াতকে।