Elon Musk: বর্তমানে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের কাছে ইন্টারনেট তাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে। স্মার্টফোন, ল্যাপটপ বা কম্পিউটার যে কোনো কিছু ব্যাবহার করতে গেলেই ইন্টারনেটের প্রয়োজন অবশ্যম্ভাবী। বেশ কয়েক বছর ধরে ভারতের টেলিকম বাজারে নিজের পাকাপাকি জায়গা তৈরি করে নিয়েছে মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) সংস্থা রিলায়েন্স জিও (Reliance jio)। সস্তায় সাশ্রয়কারী বিভিন্ন প্ল্যান এনে সহজেই গ্রাহকদের মন জয় করে নিয়েছে এই টেলিকম সংস্থা।
এতদিন জিওর সাথে টেক্কা দেওয়ার জন্য নিজেদের নানা রকম প্ল্যান এনে হাজির করেছিল এয়ারটেল(Airtel), ভোডাফোন (Vodafone) এবং বিএসএনএল(BSNL)। তবে এবার সবাইকে টেক্কা দিতে টেলিকম বাজারে এসে হাজির হলেন এলন মাস্কের(Elon Musk)। ঘরে ঘরে ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে মহাকাশ থেকে সরাসরি তারহীন ইন্টারনেট পরিষেবা সংযুক্ত করতে উদ্যোগী হয়েছেন এলন মাস্ক। ভারত ছাড়া একাধিক দেশে ইতিমধ্যেই এই পরিষেবা চালু হয়ে গিয়েছে।
ভারত সরকারের পক্ষ থেকে শীঘ্রই এলন মাস্কের স্টারলিঙ্ক (starlink) থেকে ভয়েস এবং ডেটা পরিষেবা অনুমোদন করতে পারে বলে জানা গেছে। একটি তথ্য মারফত জানা গেছে সিকিউরিটি চেক সম্পন্ন হওয়ার পর এই স্টারলিঙ্ক সংস্থাটিকে স্যাটেলাইট পরিষেবার (GMPCS) লাইসেন্সের মাধ্যমে তাদের কাজ শুরু করার অনুমতি দিয়ে দেওয়া হবে।
জানা গেছে GMPCS লাইসেন্স স্টারলিঙ্ককে ভারতে ব্যক্তিগত ও বিভিন্ন সংস্থাকে মেসেজিং পরিষেবা, ভয়েস পরিষেবা এবং ব্রডব্যান্ড পরিষেবা দিতে সাহায্য করবে। এ বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে।
মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স জিও এবং সুনীল মিত্তালের (Sunil Mittal) ওয়ান ওয়েব ইতিমধ্যেই ভারতে GMPCS এর লাইসেন্স পেয়েছে। স্টারলিঙ্কের জন্য এই লাইসেন্স অনুমোদন করার পর এটি ভারতের তৃতীয় স্যাটেলাইট কমিউনিকেশনস কোম্পানিতে পরিণত হবে। তবে এর জন্য স্টারলিঙ্ক (starlink)-কে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল স্পেস প্রমোশন অ্যান্ড অথরাইজেশন সেন্টার (IN-SPACE) থেকেও অনুমোদন নিতে হবে। তবে TRAI এর নতুন চেয়ারম্যান নিযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত এটি বিলম্বিত হতে পারে। সব মিলিয়ে ভারতে যতদিন না এই পরিষেবা আসে ততদিন জিও, এয়ারটেল ইত্যাদি সংস্থাগুলির উপরেই ভরসা করতে হবে ভারতীয় গ্রাহকদের।