ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মুখে গোটা দেশ। তরতরিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। পরিস্থিতি প্রায় নিয়ন্ত্রনের বাইরে। গত ১ লা জুন থেকেই মোটামুটি সকল কিছুর ওপর লকডাউনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। আর তারপরেই দেশে রেকর্ড সংখ্যক সংক্রমণ ও মৃত্যু ঘটতে থাকে। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অনুযায়ী মহারাষ্ট্র সবার প্রথমে রয়েছে। তারপরেই রয়েছে তামিলনাড়ু ও রাজধানী দিল্লি। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে ২৭,৬৫৪ কোভিড ১৯ এ আক্রান্ত হয়েছে। মারা গিয়েছে ৭৮১ জন।
আজকে দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়, দিল্লির উপ-রাজ্যপাল অনিল বৈজাল এব উচ্চপদস্থ কেন্দ্রীয় কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “৩১ জুলাইয়ের মধ্যে দিল্লিতে ৫.৫ লক্ষ কোভিড-১৯ সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে। তখন আমাদের ৮০,০০০ শয্যা লাগবে।” তিনি আরও বলেন, দিল্লিতে প্রতি ১২-১৩ দিন অন্তর আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে। দিল্লি সরকারের অনুমান অনুযায়ী, আগামী ১৫ জুনের মধ্যে ৪৪ হাজার ও ৩০ জুনের মধ্যে ১ লক্ষ এবং ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে ২ লক্ষ ২৫ হাজার মানুষ কোভিড ১৯ এ আক্রান্ত হবেন।
কিছুদিন আগেই দিল্লিবাসীর জন্য হাসপাতালে সিট সংরক্ষণ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয় কেজরিওয়ালের সরকার। কিন্তু এই সিদ্ধান্তে সহমত হননি দিল্লির উপ রাজ্যপাল অনিল বৈজাল। তারপরেই দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া বলেন, “এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি যে জুলাইয়ের শেষে ৮০,০০০ শয্যা লাগবে, তাও কেবল দিল্লির বাসিন্দাদের জন্য, বাইরের লোকদের জন্য নয়…এগুলো কোথা থেকে আসবে? এ নিয়ে কী করা হচ্ছে,” এছাড়াও তিনি বলেন, “আমরা আজকের বৈঠকে এই পরিস্থিতিটি তুলে ধরেছি তবে কিছুই আলোচনা হয়নি। আমরা একটা জিনিস বুঝতে পারছি, বেড পাওয়া যাবে তবে তার একমাত্র উপায় হ’ল যদি অন্যান্য সমস্ত পরিকল্পিত চিকিৎসা পদ্ধতিগুলি পিছয়ে দেওয়া যায় বা স্থগিত রাখা যায় এবং কেবল কোভিড-১৯-কেই লক্ষ্য রাখা হয়… আমরা এখনও ভাবছি কী করা দরকার।”