নদীয়া সংবাদনিউজরাজ্য

একদিকে পরিত্যক্ত নোংরা আবর্জনা, অন্যদিকে ঘনবর্ষায় প্লাবনের ইচ্ছায় ফুঁসছে চূর্ণী

চূর্ণী নদী শিবনিবাস থেকে প্রবাহিত হয়ে হংস খালি,বীরনগর, আরংঘাটা, রানাঘাট এবং পরিশেষে ভাগীরথী নদীতে যুক্ত হয় হুগলির কাছাকাছি চাকদায়।

Advertisement
Advertisement

মলয় দে নদীয়া:- মাথাভাঙার শাখা নদী এই চূর্ণী, বাংলাদেশেরকুষ্টিয়া জেলার মুন্সীগঞ্জে পদ্মা নদী থেকে এর উৎপত্তি নদীয়া জেলার মাজদিয়ার কাছে ইছামতি ও চূর্ণী দুটি নদীতে ভাগ হয়েছে। চূর্ণী নদী শিবনিবাস থেকে প্রবাহিত হয়ে হংস খালি,বীরনগর, আরংঘাটা, রানাঘাট এবং পরিশেষে ভাগীরথী নদীতে যুক্ত হয় হুগলির কাছাকাছি চাকদায়। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৫৬ কিলোমিটার।

ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ কারেন্ট রিসার্চের একটি নিবন্ধ অনুসারে এই চূর্ণী নদী হল একটি কৃত্রিম খাল এর অবশিষ্টাংশ, যা ১৭ তম শতাব্দীর মহারাজা দ্বারা খনন করা হয়েছিলো, সেই কারণেই চুনির অপর নাম খোঁড়া নদী। ১৯৩০ সালে নদীটি জল ভ্রমণ এবং ব্যবসার কাজে ব্যবহার করা হতো, কিন্তু পরবর্তীকালে ছোট ছোট দৃশ্যমান বার নিমজ্জিত দ্বীপসহ আংশিকভাবে পলি দিয়ে ভরে গেছে এটি বর্তমানে আর চলাচল যোগ্য নয়। তবুও বেশ বড় জলাধার হিসেবে, স্থানীয় মৎস্যজীবীদের প্রধান জীবিকা এখনো এই চূর্ণী থেকেই।

প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য জলজ প্রাণীদের বাস, এবং পাশাপাশি এলাকা গুলির বর্ষার জল বহির্গমনের পথ ও সেই চূর্নী। বর্তমানে ঘনবর্ষা তারপর ক্রমাগত বৃষ্টিতে রানাঘাটের চূর্ণী নদীর জল বৃদ্ধি পাচ্ছে নদীর দুই ধরে মাটি আলগা হচ্ছে পারে থাকা বিভিন্ন গাছ ইতিমধ্যে জলে ডুবে গিয়েছে নদীর স্নানের বাঁধানো ঘাটের সিঁড়ি জলের তলায় চলে গিয়েছে আর এর ফলে নদীর আশে পাশে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতংক শুরু হয়েছে। বিভিন্ন বাঁধ থেকে জল ছাড়ায় নদীগর্ভ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দার ধারণা এই ভাবে জল এবং বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ সৃষ্টি হবে। অন্যদিকে সাধারণ মানুষের অব্যবহৃত পরিত্যক্ত প্লাস্টিক বা বিভিন্ন আবর্জনা নোংরাসামগ্রী সবটাই আজ চূর্ণীগর্ভে

Related Articles