আজকের লক্ষ্মী পুজো কোজাগরী নামে খ্যাত! এই কোজাগরী কথার অর্থ কি জানেন?
পূজা চলাকালীন বা সন্ধ্যার পর একমাত্র শঙ্খধ্বনি বাদ দিয়ে কোনরকম ঘন্টা কাশর শব্দ বাজি কিছুই বাজানো হয় না।
মলয় দে নদীয়া :- কো জার্গতি! অর্থাৎ কে কে জেগে আছো? জনশ্রুতি থেকে জানা যায় অনেক প্রাচীনকালে পূর্ণিমার রাতে লক্ষ্মীপূজো হতো এবং বাকি রাত জেগে কাটাতেন ভক্তবৃন্দরা। কারণ শান্ত স্নিগ্ধ মা লক্ষ্মী অতি সন্তর্পনে রাতেই ধন-সম্পদ সহ প্রবেশ করেন ভক্তবৃন্দের গৃহে।
আর সেই কারণেই তার প্রিয় বাহন পেঁচার চোখে ঘুম থাকে না রাতে, জেগে থাকে সারারাত। তাই পূজা চলাকালীন বা সন্ধ্যার পর একমাত্র শঙ্খধ্বনি বাদ দিয়ে কোনরকম ঘন্টা কাশর শব্দ বাজি কিছুই বাজানো হয় না। তবে এভাবে কি সারা রাত জাগা যায় ? তাই পরিবারের আত্মীয় পরিজনদের মধ্যে সারা রাত জেগে কাটানোর জন্য তৎকালীন সময়ে পাশা পরবর্তীতে বাঘবন্দি, গুটি নাড়ানো, দাবা খেলার প্রচলন চালু হয়।
সেই থেকেই অবশ্য জুয়া খেলার সূত্রপাত বলেই জানা যায়। এই লক্ষ্মী পূজার দিন সারারাত ঘিয়ের প্রদীপ জ্বেলে রাখা, এবং বৃদ্ধ ও শিশুদের খাবার গ্রহণ করাতে হয়। বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে এবছরের কোজাগরী পূর্ণিমা আরম্ভ হবে ২৫ শে আশ্বিন ১৪২৬ শনিবার। এই পুজো হয় মূলত প্রতিমা, সরা, ধান মাপা কাঠা, নবপত্রিকা কিংবা থোরের তৈরি নৌকায়। তবে লক্ষ্মীর সরা ও হয় নানান রকমের যেমন ঢাকায় সরা ফরিদপুরী সুরেশ্বরী এবং শান্তিপুরী সরা।
নদীয়া জেলার তাহেরপুর নবদ্বীপ এবং উত্তর ২৪পরগনার বিভিন্ন স্থানে লক্ষীসরা আঁকা হয়। তবে আঞ্চলিকতা ভেদে লক্ষ্মীর সরায় তিন,পাঁচ,সাতটি পুতুল আঁকা হয় এতে থাকে, লক্ষী জয়া, বিজয় সহ রাধাকৃষ্ণ সপরিবার দুর্গা ইত্যাদি। আবার সুরেশ্বরী সরায় উপরের অংশে মহিষমর্দিনী আঁকা হয় আর নিচের দিকে থাকেন সবাহন লক্ষী।