নদীয়ার শান্তিপুরে মায়ের শ্লীলতাহানি রুখতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত ছেলে
গতকাল রাতে মা এবং ছেলে শান্তিপুর থানায় দুটি আলাদা আলাদা অভিযোগ জমা করেন।
মলয় দে নদীয়া:- কর্মসূত্রে স্বামী ও ছেলে দীর্ঘদিন ভিন রাজ্যে থাকায় নিয়মিত কুপ্রস্তাব দিতো নদীয়ার শান্তিপুর ব্লকের বেলঘড়িয়া দু’নম্বর পঞ্চায়েতের রেলগেট পাড়ার বাসিন্দা সুবোধ বিশ্বাস প্রভাষ, মিস্ত্রি সুফল বিশ্বাস, সঞ্জীব বিশ্বাস এমনটাই অভিযোগ করেছেন ওই এলাকারই গৃহবধূ বুলবুলি বিশ্বাস।
তার স্বামী অরুণ বিশ্বাস এবং একমাত্র সন্তান ১৮ বছর বয়সী তনময় বিশ্বাস দুজনেই কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে থাকেন। সেই সময় থেকে একা থাকার কারণে প্রায়ই ওই মহিলাকে উত্যক্ত করে পাড়ার ওই যুবকেরা। বর্তমানে লকডাউন এর কারণে স্বামী, পুত্র দুজনেই রয়েছেন বাড়িতে। পরিবারের সম্মান এর কথা ভেবে দু’একজন প্রতিবেশীকে এবং স্বামীকে জানালেও প্রশাসনের দ্বারস্থ হননি কোনদিন।
কিন্তু গতকাল আনুমানিক সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ ওই যুবকের দল মদ্যপ অবস্থায় বুলবুলি দেবীকে মুখে কাপড় চাপা দিয়ে পাশের জঙ্গলে টেনে নিয়ে যান। গোঙ্গানির শব্দে এলাকাবাসী ছুটে আসলে বুলবুলি দেবীকে ছেড়ে দিয়ে পালায় ওই যুবকের দল। এরপর ছেলেকেও স্বামীকে ফোন করলে বেধড়ক মারধর করে দুজনকেই। এমনকি মৃত্যু হুমকি দিয়ে শাসিয়ে যায় যাতে থানায় অভিযোগ না করে।
গতকাল রাতে মা এবং ছেলে শান্তিপুর থানায় দুটি আলাদা আলাদা অভিযোগ জমা করেন। এরপর রাতে দুটো নাগাদ মদ্যপ অবস্থায় ফের চড়াও হয় ওই দুষ্কৃতীরা। তাদের হাতে দা, বন্দুক এবং অন্যান্য ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে টিনের বেড়ায়, এবং অন্যান্য আসবাবপত্রে। আবারও হুমকি দিয়ে যায় থানায় না যাওয়ার জন্য এবং কুপ্রস্তাবে রাজী হওয়ার জন্য।
এলাকা সূত্রে জানা যায় ওই যুবকের দল দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় নানান অপরাধের সঙ্গে যুক্ত। একাধিকবার থানায় অভিযোগও আছে তাদের নামে, এমনকি তাদের বৈধ পরিচয় পত্রও নেই এদেশের এমনই জানান বুলবুলি দেবীর স্বামী অরুণ বিশ্বাস। ছেলে তনময় বিশ্বাস বলে ২৪ ঘন্টা কেটে যাওয়ার পরও একবারের জন্য পুলিশ আসেনি এখনো ওরা ঘুরে বেড়াচ্ছে বহাল তবিয়তে। মায়ের আত্মসম্মান, আমাদের জীবনের দাম কোনটাই গুরুত্ব দিচ্ছে না প্রশাসন।